oneSickPuppy
Storyteller
খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে একটি ফার্মেসি থেকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহানা পারভিন জ্যোৎস্নার ৬ টুকরো খণ্ডিত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঢাকা থেকে শুক্রবার ফার্মেসির মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপ অভিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি। তার আগে সুনামগঞ্জ থেকে অভির সহযোগী অনজিৎ চন্দ্ৰ গোপ ও অসীত গোপকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রিফিংয়ে ফার্মেসি মালিক অভি জোৎস্নাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। তিনি বলেন, শাহনাজ ২০১৩ সাল থেকে পৌর শহরের নিজ বাসায় দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন। তার স্বামী হরকু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদি প্রবাসী।
পরিবারের সদস্যদের ওষুধ জিতেশের ‘অভি মেডিক্যাল হল’ ফার্মেসি নিয়মিত কেনার ফলে জিতেশের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। শাহনাজ কিছুদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই পরামর্শ ও ওষুধ নিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জিতেশের ফার্মেসিতে যান। মুক্ত ধর আরও জানান, ফার্মেসির ভেতরে প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং কাস্টমারের ভিড় কমলে তার সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধানের জন্য সঠিক ওষুধ তাকে দেয়া হবে জানানো হয়। রাত হয়ে যেতে থাকলে তিনি বাড়ি ফিরতে চান।
বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ‘এরইমধ্যে জিতেশ তার বন্ধু মুদি দোকানদার অনজিৎ গোপ ও পাশের অরূপ ফার্মেসির মালিক অসীত গোপকে সঙ্গে নিয়ে জোৎস্নাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। তাই তাকে চিকিৎসার কথা বলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। জোৎস্না ঘুমিয়ে পড়লে তারা ফার্মেসি বন্ধ করে চলে যান। পরে রাত গভীর হলে তিনজনে গিয়ে ধর্শণ করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে মুক্তাধর জানান, ওষুধপত্র কেনার সুবাদে অভি মেডিকেল হলের মালিক জিতেশের সাথে জোসনার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। জোসনা কিছুদিন ধরে গোপন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জিতেশ জোসনার মায়ের প্রেশার মাপার জন্য তাদের বাড়িতে যান। তখন জোসনা তার গোপন সমস্যার কথা জিতেশকে জানালে তিনি তাকে দোকানে যেতে বলেন। ওইদিন বিকালে জোসনা জিতেশের দোকানে গেলে তাকে দোকানে কাস্টমার রয়েছে বলে অপেক্ষা করতে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
মুক্তাধর আরও জানান, অনেক রাত হলে বাসায় যাওয়ার জন্য জোসনার অস্থিরতা বেড়ে যায়। তখন ওই ফার্মেসির মধ্যে তাকে একটি ঘুমের ওষুধ খেতে দেন জিতেশ। এতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন জোসনা। তখন জিতেশ, তার দুই বন্ধু অনজিৎ এবং অসীত গোপ তাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। জিতেশ তার ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার কক্ষে জোসনাকে বসিয়ে রাখেন। সেখানে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাকে ঘরে রেখে ফার্মেসির তালা বন্ধ করে বাইরে চলে যান জিতেশ।
এরপর রাত গভীর হলে আশেপাশের দোকান যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন জিতেশ ও তার দুই বন্ধু ফার্মেসী খুলে এনার্জি ড্রিংকস পান করে ধর্ষণ করেন।
জোসনা কিছুদিন ধরে গোপন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জিতেশ জোসনার মায়ের প্রেশার মাপার জন্য তাদের বাড়িতে যান। তখন জোসনা তার গোপন সমস্যার কথা জিতেশকে জানালে তিনি তাকে দোকানে যেতে বলেন। ওইদিন বিকালে জোসনা জিতেশের দোকানে গেলে তাকে দোকানে কাস্টমার রয়েছে বলে অপেক্ষা করতে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। মুক্তাধর আরও জানান, অনেক রাত হলে বাসায় যাওয়ার জন্য জোসনার অস্থিরতা বেড়ে যায়। তখন ওই ফার্মেসির মধ্যে তাকে একটি ঘুমের ওষুধ খেতে দেন জিতেশ।
এতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন জোসনা। তখন জিতেশ, তার দুই বন্ধু অনজিৎ এবং অসীত গোপ তাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। জিতেশ তার ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার কক্ষে জোসনাকে বসিয়ে রাখেন। সেখানে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাকে ঘরে রেখে ফার্মেসির তালা বন্ধ করে বাইরে চলে যান জিতেশ। এরপর রাত গভীর হলে আশেপাশের দোকান যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন জিতেশ ও তার দুই বন্ধু ফার্মের্সি খুলে এনার্জি ড্রিংকস পান করে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি শাহনাজ তার পরিবারকে জানিয়ে দেবেন বললে জিতেশ ও তার বন্ধুরা তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনার পর পুলিশের ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে দুটি দল তদন্তে নামে। তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে, জগন্নাথপুর পৌরসভার কার্যালয়ের পেছনের বাসায় সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রী’র বাসভবনে এর আগেও গিয়েছেন জিতেশ। ওই বাসভবনের একেবারে কাছাকাছি মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটে জিতেশ চন্দ্র গোপের মালিকানাধীন অভি মেডিকেলে ওষুধ আনার জন্য শাহনাজের যাতায়াত ছিল।
বুধবার বিকেলে অন্যদিনের মতো ফার্মেসিতে যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হন শাহনাজ। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। নিহতের ভাই হেলাল মিয়া তাঁর বোন বাসায় ফেরেন নি জানতে পেরে ফার্মেসিতে যান বিকেল সাড়ে ৫ টায়। তখন ওই ফার্মেসি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ফার্মেসির মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি হেলাল মিয়াকে জানান, তার বোন এসেছিলেন, ওষুধ না পেয়ে চলে গেছেন। নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করলে অন্য এক নারী ফোন রিসিভ করে জানান, তিনি (নিহত নারী) সিলেট ওসমানীতে আছেন। সেখানে যোগাযোগ করেও তার সন্ধান পান নি পরিবারের লোকজন। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানান তারা। সন্ধ্যা ৭ টার পর থেকে শাহনাজের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সারা রাত বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে নিহত শাহনাজের খোঁজ না পেয়ে জিতেশ গোপের বাসায় যায় পুলিশ। ওখানে গিয়ে জানতে পারে বৃহস্পতিবার ভোরেই পরিবারের সকলকে নিয়ে অন্যত্র গেছেন জিতেশ। পরে বেলা ১১ টায় জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাজেদুল ইসলামের উপস্থিতিতে পুলিশ অভি ফার্মেসির তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে। এসময় ফার্মেসির একটি টেবিলের নীচে (রোগী দেখার টেবিলের নীচে) বিছানার চাদর দিয়ে মোড়ানো ওই নারীর ছয় টুকরা (গলা, পেট, হাত-পা) বিছিন্ন অংশ দেখতে পায় পুলিশ।
নৃশংশ এই হত্যাকা-ের ঘটনায় পুরো শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পুলিশের দুটি দল রাতেই তদন্তে নামে। শুক্রবার সকালে পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, ঘটনার মোটিভ উদ্ধারের জন্য ময়নাতদন্তে গর্ভপাতের কোন ওষুধ খাওয়ানোর ঘটনা ঘটেছে কি-না, ধর্ষণের কোন আলামত আছে কি-না, চেতনা নাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে কি-না জানতে চাওয়া হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে জনৈক প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যর পর মৃতদেহ ছয় টুকরো করে ফেলার মত এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য মতে, শাহনাজ পারভীন জোৎস্না নামীয় ওই নারীর ছয় টুকরা মৃতদেহ বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরের অভি মেডিক্যাল নামের একটি ফার্মেসি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত নারীর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে সৌদী আরব থাকেন। ওই নারী ছেলে-মেয়েসহ জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে ভাইয়ের সাথে অবস্থান করেন। নিহত শাহনাজ পারভীনের ভাইয়ের ভাষ্যমতে তিনি (শাহনাজ পারভীন) ঔষধ কেনার জন্য বাসা থেকে বের হন। বাসায় ফিরতে দেরি দেখে তিনি বোনের খবরের জন্য অভি ফার্মেসিতে যান (এই ফার্মেসিতে ওই নারীর যাতায়াত ছিল) । ফার্মেসি বন্ধ দেখে মালিককে ফোন দিলে জানানো হয় এখানে ঔষধ না পাওয়ায় শাহনাজ অন্য দোকানে গেছেন। তখন শাহনাজের মোবাইল ফোনে কল দেন তিনি। মোবাইল ধরে ভিন্ন এক নারী কণ্ঠ একেক সময় একেক ধরনের তথ্য দিয়ে তাকে বিভ্রান্ত করতে থাকে। সন্ধ্যায় ঘটনাটি পুলিশে জানান তিনি (নিহত শাহনাজের ভাই)। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তালাবদ্ধ অভি ফার্মেসি ভেঙে ভিতরে তার মৃতদেহের ছয় টুকরা বিছানার চাদর দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এদিকে অভি ফার্মেসির মালিক ঘটনার পর থেকেই নিরুদ্দেশ হয়ে পড়েছেন। তিনি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সইলা গ্রামের জাদব গোপের ছেলে জিতেশ গোপ বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে।
উপজেলা সদরে একটি ব্যস্ততম এলাকায় এমন নৃশংস খুনের ঘটনা সকলকে হতবাক করে দিয়েছে। খুন করার পর মৃতদেহকে ছয় টুকরো করে বিছানার চাদর দিয়ে মুড়িয়ে রাখা থেকে খুনীর বিভৎসতা সম্পর্কে আঁচ পাওয়া যায়। শাহনাজ পারভিনকে স্বজনদের দ্বারা খোঁজ-খবর নেয়ার শুরু থেকেই বিভিন্ন ঘটনাসূত্রে কিছু রহস্যজনক বাস্তবতার দেখা মিলে। ফার্মেসির মালিক জিতেশ গোপকে ফোন দিলে তিনি জানান, ওই নারীর চাহিত ঔষধ তার দোকানে না থাকায় তিনি অন্য দোকানে চলে গেছেন। অথচ ওই ফার্মেসি থেকেই শাহনাজের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে যখন নিহত নারীর মোবাইলে ফোন দেয়া হয় তখন মোবাইল ধরেন অন্য আরেক নারী। তিনি একেক সময় একেক কথা বলেন। বুঝা যায় খুনের পর শাহনাজের মোবাইল ফোনটি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সেটি সচলও ছিল। ওই নারী কে?
সিআইডি জানায়, শাহনাজ জোসনা ২০১৩ সাল থেকে জগন্নাথপুর পৌর শহরে নিজের বাসায় দুই ছেলে, এক মেয়ে, বৃদ্ধা মা ও ভাই—বোনদেরকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে মুক্তাধর জানান, ওষুধপত্র কেনার সুবাদে অভি মেডিকেল হলের মালিক জিতেশের সাথে জোসনার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। জোসনা কিছুদিন ধরে গোপন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জিতেশ জোসনার মায়ের প্রেশার মাপার জন্য তাদের বাড়িতে যান। তখন জোসনা তার গোপন সমস্যার কথা জিতেশকে জানালে তিনি তাকে দোকানে যেতে বলেন। ওইদিন বিকালে জোসনা জিতেশের দোকানে গেলে তাকে দোকানে কাস্টমার রয়েছে বলে অপেক্ষা করতে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
মুক্তাধর আরও জানান, অনেক রাত হলে বাসায় যাওয়ার জন্য জোসনার অস্থিরতা বেড়ে যায়। তখন ওই ফার্মেসির মধ্যে তাকে একটি ঘুমের ওষুধ খেতে দেন জিতেশ। এতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন জোসনা। তখন জিতেশ, তার দুই বন্ধু অনজিৎ এবং অসীত গোপ তাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। জিতেশ তার ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার কক্ষে জোসনাকে বসিয়ে রাখেন। সেখানে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাকে ঘরে রেখে ফার্মেসির তালা বন্ধ করে বাইরে চলে যান জিতেশ।
এরপর রাত গভীর হলে আশেপাশের দোকান যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন জিতেশ ও তার দুই বন্ধু ফার্মেসী খুলে এনার্জি ড্রিংকস পান করে ধর্ষণ করেন।
বিষয়টি শাহনাজ তার পরিবারকে জানিয়ে দেবেন বললে জিতেশ ও তার বন্ধুরা তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে ওই ফার্মেসিতে থাকা ফল কাটার ছুরি দিয়ে লাশটি দুই হাত, দুই পা এবং বুক পেটসহ ছয়টি টুকরা করেন। এরপর দোকানে থাকা ওষুধের কার্টুন দিয়ে খণ্ডিত অংশগুলো ঢেকে রেখে ফার্মসিতে তালা লাগিয়ে চলে যান। পরে খণ্ডিত লাশ পাশের একটি মাছের খামারে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়ায় এবং লোকজন চলে আসায় তারা সেই কাজটি করতে পারেননি।