oneSickPuppy
Storyteller
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যাকাণ্ডের মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে রাজধানীর গুলশানের পিংক সিটির পাশের ১০৭ নম্বর রোডের ২৫/বি বাড়িতে অভিযান শুরু করে র্যাব সদস্যরা। এসময় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, বিয়ার ও নেশা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এর ঘন্টাখানেক আগে র্যাব সদস্যরা সেখানে অবস্থান নেয়। উদ্ধার করা মাদকের মধ্যে রয়েছে, ২৩ বোতল বিদেশি বিভিন্ন ব্রাণ্ডের মদ, ১৪ ক্যান বিয়ার ও সিসা সরঞ্জাম। এছাড়া বাড়িতে থাকা দুই তরুণীকে আটক করা হয়।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীর বাড়িতে অভিযানের সময় দুই তরুণীকে আটক করেছে র্যাব। পরে তাদেরকে সাদা রঙের একটি হায়েস মাইক্রোবাসে র্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়। আটক দুজনের মধ্যে একজন উঠতি বয়সী মডেল রয়েছেন বলে জানা গেছে। আর এই দুই তরুণী আশিষ রায়ের রক্ষিতা ছিলেন বলে অভিযানে থাকা একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে জানান, আটক দুই তরুণীর মধ্যে একজন উঠতি মডেল রয়েছেন। তারা প্রতিনিয়ত আশিষের বাসায় আসা যাওয়া করতেন। তারা আশিষের সহযোগী বা রক্ষিতা হিসেবে ফ্ল্যাটটিতে আসা যাওয়া করতেন এবং একসঙ্গে মদ্যপান ও পার্টি করতেন। যেখানে অনেকে উপস্থিত থাকতেন। আজকে (মঙ্গলবার) এই দুই তরুণী ছাড়াও আরও একজনের আসার কথা ছিল। কিন্তু কোনো কারণে তিনি আসেননি।
এ বিষয়ে বাসার মালিক মোখলেছুর রহমান জানান, আশিষ চৌধুরী প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মেয়েদের নিয়ে আসতেন। তবে সেটা যে কোম্পানির লোক না, তা তিনি বুঝতে পারেননি।
এদিকে আড়াই ঘণ্টার অভিযান শেষে দুই তরুণীকে র্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়েছে। রাত বারোটার কিছু সময় পরে তাদেরকে ফ্ল্যাট থেকে বের করা হয়। এরমধ্যে একজন কালো গেঞ্জি, সাদা রঙের ওড়না এবং অফহোয়াইট প্যান্ট পরা ছিলেন। আরেকজন সাদারঙের ধূসর ওড়না পরা ছিলেন। র্যাবের নারী সদস্যরা তাদেরকে ফ্ল্যাট থেকে বের করে গাড়িতে তোলেন। এরপরই ফ্ল্যাট থেকে নামানো হয় আশিষ চৌধুরীকে। আরেকটি হায়েস গাড়িতে তাকে র্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।