oneSickPuppy
Storyteller
উত্তরপ্রদেশে ৪ দিনে তিন নাবালিকা মুসলিমাকে ধর্ষণ - ওদের পেটে বাচ্চা দিয়ে ভেগে যাও! হিন্দুদের নতুন মিশন
উপমহাদেশের মুসলিম নারীরা এক কঠিন সময় অতিবাহিত করছেন। বিশেষ করে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিনই হিন্দুদের ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন মুসলিম নারীরা। হিন্দুরা তাদের মিশন বানিয়ে নিয়েছে যে, মুসলিম সেজে বিয়ে করে হলেও, যেকোন উপায়ে মুসলিম নারীদের পেটে সন্তান দিয়ে পালিয়ে যাওয়া।
এ জঘন্য কাজকে উগ্র হিন্দুরা নাম দিয়েছে ভাগওয়া জিহাদ। ফলে মুসলিম নারীদের ছলে বলে কৌশলে কিংবা জোরপূর্বক ধর্ষণ করার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এই ন্যাক্কারজনক মিশনের ধারাবাহিকতায় গত ৪ দিনে শুধু ভারতের উত্তরপ্রদেশেই ৩ নাবালিকা মুসলিমাকে ধর্ষণ করেছে হিন্দুরা।
গত ১৩ মার্চ সোমবার সকালে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা জেলায় আট বছর বয়সী মুসলিমা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। একই জেলায় এবং সম্বলে অন্য দুই নাবালিকাকে গণধর্ষণের চার দিন পরেই আগ্রায় নাবালিকা মুসলিমাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসীরা আট বছর বয়সী শিশুকে এলাকার একটি খালি জায়গায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল এবং পরে তার পরিবারকে খবর দেয়। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং এখনও অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছে।
পরিবারের থেকে জানানো হয়েছে, মেয়েটি পাশের একটি দোকানে গিয়েছিল, কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও না ফেরায় তারা তাকে খুঁজতে শুরু করে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
গত চার দিনে, রাজ্যে তিনটি ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে একটি ঘটেছে ৯ মার্চ, যেখানে ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে আগ্রার একটি গ্রামের কাছে জঙ্গলে নিয়ে দুই ব্যক্তি ধর্ষণ করে। ধর্ষকরা মেয়েটিকে মারধর করে টেনে নিয়ে যায়, যার ফলে তার কাঁধে আঘাত লাগে।
ঘটনা জানাজানি হলে ২৮ এবং ৩০ বছর বয়সী দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
একই দিনে সম্বল জেলার একটি গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র পাঁচ বছরের একটি মেয়েকে খেলার সময় ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিকটিম এবং তাদের সাথে যারা খেলেছে তাদের ঘটনা সম্পর্কে চুপ থাকার জন্য হুমকি দিয়েছে। ধর্ষিতা মেয়েটিকে ঘটনার কথা বলে দিলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।
এদিকে, ভারতের বিহারে হিন্দুদের হোলি উৎসবে হিন্দু সরপঞ্চের ছেলে ও তার বন্ধুরা মিলে দুই নাবালিকা মুসলিম মেয়েকে ধর্ষণ করে। গত ৮ মার্চ বুধবার, অন্যদের সাথে হোলি উৎসব দেখতে গিয়েছিলেন ৬ এবং ৭ বছর বয়সী দুই নাবালিকা মুসলিম মেয়ে। নাবালিকা মেয়েরা যখন সাহেবপুর কমলের পাঁচদির চকের কাছে একটি স্কুলে খেলছিল তখন মাহাতো ওরফে রাজ কুমার এবং তার বন্ধুরা মিলে দুই মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
হিন্দুত্ববাদীদের ভাগওয়া জিহাদের প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশেও। শুধু এক অনুপ পোদ্দার মুসলিম সেজে প্রায় ২০০ নারীর সর্বনাশ করেছে।
তাকে আটকের পর র্যাব জানায়, গোপনে ধারণকৃত মুসলিম নারীদের স্পর্শকাতর ভিডিও ও ছবি এবং বিভিন্ন পর্নোভিডিও তার দ্বারা পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোপন গ্রুপে পোস্ট ও শেয়ার করত। এ ছাড়া ২০০ এর অধিক ভুক্তভোগী মুসলমান নারীর ছবি ও ভিডিও সম্বলিত তার মোবাইলটি জব্দ করা হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের হিন্দুদেরও অনেক সিক্রেট গ্রুপ রয়েছে। যেখানে মুসলিম নারীদের কিভাবে ধর্ষণ করা যায়, সে ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়; কোন ধরণের নারীদের সহজেই টার্গেট করা যায়, তাদেরকে কোথায়-কিভাবে পাওয়া যায় এসব ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কেউ ধর্ষণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে তাদের আইন সহায়তা দেওয়ার জন্যও ব্যবস্থা করা হয়। কারণ অধিকাংশ প্রশাসনের কর্মকর্তাই তাদের মতো হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের। আর যারা ধর্ষণ করতে পেরেছে তাদের গোপনে ধারণকৃত স্পর্শকাতর ভিডিও ও ছবি আপলোড করে অন্যদের উৎসাহ দেয় সেসব গোপন হিন্দু গ্রুপে।
"ওদের পেটে বাচ্চা দিয়ে ভেগে যাও!" সরকারী মদদে ভারতীয় কট্টর হিন্দুদের নতুন মিশন