Mrs. Faria Chowdhury
Well-known member
সাকিব আজকে হঠাৎ এসে বলতেসে,"জানো হিন্দুদের একটা চক্র আছে না মুসলিম মেয়েদেরকে রিলেশনের ফাঁদে ফেলে ফিজিক্যাল রিলেশন পর্যন্ত টেনে নেয়,তারপর মেয়েটা প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলে সরে পড়ে!এই চক্রটা অনেকদিন আগে থেকেই এক্সিস্ট করে,ইভেন অনেক কাছের চেনা হিন্দু ছেলেরাই এতে জড়িত!"
আমি জিজ্ঞেস করলাম, "হঠাৎ এই কথা বলছেন কেনো?"
– "আমরা যখন ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি একটা মেয়ে আসতো পর্দা করে।পুরা ফার্স্ট ইয়ারে সেই মেয়ের চেহারা কেউ দেখে নাই। অনিরুদ্ধ নামের এক ছেলের সাথে সেই মেয়ের ভালো বন্ধুত্ব ছিলো।
সেকেন্ড ইয়ারে একদিন দেখি সে শুধু হিজাব পড়ে কলেজে আসতে শুরু করসে।তারপর শুনি অনিরুদ্ধের সাথে নাকি প্রেম করে। তখন তো জাহেল ছিলাম,তাই ফ্রেন্ডসার্কেলও তেমনই ছিলো।বন্ধুরা আলোচনা করতাম এতো হ্যান্ডসাম বড়ভাইদের রেখে এই হিন্দু পোলার সাথে প্রেম করে কেন ও?
আস্তে আস্তে সে বোরকা ছাড়লো,কয়দিন ঢিলাঢালা সালোয়ার কামিজ পড়লো!তারপর সেকেন্ড ইয়ারের মাঝখানে দেখি সেই মেয়ে হাতার মাঝখানে কাটা এমন জামা পড়া শুরু করছে।
কয়দিন পরে অনিরুদ্ধের রুমমেট জাহিদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি,তারা দুইজন ওদের হোস্টেলে একরুমে মাঝে মাঝে সময় কাটায়।হোস্টেলে সিনিয়ার ভাইরা থাকায় তাদের প্রেমে ব্যাকআপ দেয় জাহিদ।
আমরা এসব নিয়ে মাথা ঘামাইতাম না। কতমেয়েই তো এমন আছে,এসব ভেবে পাত্তা দেই নাই কখনো।বছরখানেক পর একদিন শুনি অনিরুদ্ধ মেয়েটার সাথে ব্রেকআপ করছে। কলেজের সবাই জানতো রিলেশন চলাকালীন একবার মেয়েটা প্রেগন্যান্টও হয়ে গেসিলো,ফ্রেন্ডদের মাধ্যমে এবোরশন করাইসে। ব্রেকআপের পর অনেক মেন্টাল ব্রেকডাউনের মধ্যে দিয়ে গেসিলো থার্ড ইয়ারটা সেই মেয়ের।
২০১৯ এর দিকে মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায়,দেশের বাড়ি রাজশাহীর এক ছেলের সাথে। তারপরে আর কোনো খোঁজ নাই।
আজকে হঠাৎ এই কাহিনী মাথায় আসলো আর দুইয়ে দুইয়া চার মিলাইলাম। তখন তো জানতাম না এতকিছু! মুসলিম মেয়েগুলার গাধামির জন্য আরও সহজ হয় ওদের পথ!"
আমি এখন পর্যন্ত হতভম্ব হয়ে আছি!
[অনিরুদ্ধ আর জাহিদ নামটা ছদ্মনাম।]
তাহরিমা জাহান তুবা🖋
আমি জিজ্ঞেস করলাম, "হঠাৎ এই কথা বলছেন কেনো?"
– "আমরা যখন ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি একটা মেয়ে আসতো পর্দা করে।পুরা ফার্স্ট ইয়ারে সেই মেয়ের চেহারা কেউ দেখে নাই। অনিরুদ্ধ নামের এক ছেলের সাথে সেই মেয়ের ভালো বন্ধুত্ব ছিলো।
সেকেন্ড ইয়ারে একদিন দেখি সে শুধু হিজাব পড়ে কলেজে আসতে শুরু করসে।তারপর শুনি অনিরুদ্ধের সাথে নাকি প্রেম করে। তখন তো জাহেল ছিলাম,তাই ফ্রেন্ডসার্কেলও তেমনই ছিলো।বন্ধুরা আলোচনা করতাম এতো হ্যান্ডসাম বড়ভাইদের রেখে এই হিন্দু পোলার সাথে প্রেম করে কেন ও?
আস্তে আস্তে সে বোরকা ছাড়লো,কয়দিন ঢিলাঢালা সালোয়ার কামিজ পড়লো!তারপর সেকেন্ড ইয়ারের মাঝখানে দেখি সেই মেয়ে হাতার মাঝখানে কাটা এমন জামা পড়া শুরু করছে।
কয়দিন পরে অনিরুদ্ধের রুমমেট জাহিদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি,তারা দুইজন ওদের হোস্টেলে একরুমে মাঝে মাঝে সময় কাটায়।হোস্টেলে সিনিয়ার ভাইরা থাকায় তাদের প্রেমে ব্যাকআপ দেয় জাহিদ।
আমরা এসব নিয়ে মাথা ঘামাইতাম না। কতমেয়েই তো এমন আছে,এসব ভেবে পাত্তা দেই নাই কখনো।বছরখানেক পর একদিন শুনি অনিরুদ্ধ মেয়েটার সাথে ব্রেকআপ করছে। কলেজের সবাই জানতো রিলেশন চলাকালীন একবার মেয়েটা প্রেগন্যান্টও হয়ে গেসিলো,ফ্রেন্ডদের মাধ্যমে এবোরশন করাইসে। ব্রেকআপের পর অনেক মেন্টাল ব্রেকডাউনের মধ্যে দিয়ে গেসিলো থার্ড ইয়ারটা সেই মেয়ের।
২০১৯ এর দিকে মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায়,দেশের বাড়ি রাজশাহীর এক ছেলের সাথে। তারপরে আর কোনো খোঁজ নাই।
আজকে হঠাৎ এই কাহিনী মাথায় আসলো আর দুইয়ে দুইয়া চার মিলাইলাম। তখন তো জানতাম না এতকিছু! মুসলিম মেয়েগুলার গাধামির জন্য আরও সহজ হয় ওদের পথ!"
আমি এখন পর্যন্ত হতভম্ব হয়ে আছি!
[অনিরুদ্ধ আর জাহিদ নামটা ছদ্মনাম।]
তাহরিমা জাহান তুবা🖋