Magicman
New member
পর্ব 1
মনটা একদম ভালো নেই দীপের।ঋতদীপ ঘোষ,মাধ্যমিকে 3rd।তবে নতুন স্কুলে এসে পড়ায় মন বসতেই চাইছে না আর।মাধ্যমিকে 700 তে 693 পাওয়ার পর JEE Mains-এ focus করবার জন্য নিজের স্বনামধন্য স্কুল ছেড়ে একটা তুলনামূলক সাধারণ স্কুলে ভর্তি হয়,শুধু attendance র সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য।হেডমাস্টার attendance র জন্য জোড়াজোড়ি করেননি,তবে HS এ ভালো নম্বর পেতেই হবে।
আগের স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গেও আজকাল যোগাযোগ নেই,নতুন বন্ধু কিছু হয়েছে তবে সেগুলো একেবারেই মেধাহীন।স্বাভাবিকভাবেই স্কুলের প্রতি দীপের আকর্ষণ নেই,সপ্তাহে মোটে 1 দিন যায় তাও practical -এ।
এইভাবে একমাস কেটে যায়,এবার ওদের এক কেমিস্ট্রি টিচার ট্রান্সফার হয়ে অন্য একজন ম্যাচ আসেন।উনি এবারেই SSC-TET পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন।স্বাভাবিকভাবেই অল্পবয়সী।যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্রী,মাহনুর সিদ্দিকি।
এককালে উত্তর কলকাতা বামমনস্ক হলেও,আধুনিক সময়ে বিজেপির উত্থানে সাম্প্রদায়িকতার বৃদ্ধি হয়েছে।অপরিণত মস্তিষ্ক সহজেই প্রভাবিত হয়।তাই দীপের মনেও মুসলিম-বিদ্বেষ ভয়াবহ আকার নিয়েছে,বাবা-মা ধর্মনিরপেক্ষ তাই একথা সামনাসামনি বলতে পারে না।তবে মনে মনে মুসলিমদের প্রতি ঘেন্না,এবং পারতপক্ষে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।
শুরুতে দীপ এড়িয়ে চলারই চেষ্টা করেছিল,তবে ছোট স্কুল হওয়ায় XI ও XII -র জন্য একজনকেই assign করা হয়েছে, এছাড়া V-X -র জন্য অন্য teacher রয়েছে।
সাধারণ ক্লাসগুলো দ্বীপ না করলেও প্র্যাকটিক্যাল গুলোতে যাওয়া compulsory।অগত্যা দীপ practical-র দিন স্কুলে গিয়ে অপেক্ষা করছিল স্কুল শেষে ছুটির।প্রথম চারটে পিরিয়ড হয়ে যাওয়ার পরে টিফিন শেষ করে প্র্যাকটিক্যাল ল্যাবে গিয়ে ফার্স্ট bench-এ বসে পড়ে। ওদের সাইন্স গ্রুপে বেশি স্টুডেন্ট নেই,11 টা ছেলে 8 টা মেয়ে।আজকেই দীপের সঙ্গে ম্যামের প্রথম দেখা।
কিছুক্ষণ পরেই ম্যাম ক্লাসে ঢোকেন,অন্যদের কি অবস্থা দ্বীপ জানেনা,তবে ম্যামকে দেখে দীপ অবাক হয়ে যায়,কোন মানুষ এত সুন্দর কি করে হতে পারে?
কি অপরূপ সুন্দরী!তন্বী চেহারা,উজ্জ্বল স্বর্ণালী ফর্সা,লম্বা কায়া,আধফোটা পদ্মের মতো টানা টানা নেশা ভরা ঢুলু ঢুলু দুটো চোখ,তার উপরে ঘন কালো একজোড়া ভুরু।
গাল দুটো যেন ছোট ছোট দুটো তুলোর বল,টিকালো নাক,গোলাপের পাপড়ির মতো গোলাপি ঠোঁট দুটোও একেবারে নিখুত- আর তাতে সর্বদা এক মিষ্টি হাসি লেগে আছে!আর মাথায় মাঝ পিঠ পর্যন্ত লম্বা ঘন চমকালো চুল। এমন অপরূপ সুন্দরী দীপ আগে কখনও স্বচক্ষে দেখে নি।আর চিকন কোমরটা যেন মাখন মাখা মসৃণ একটা আয়না।দীপের চোখটা সেখানে পড়া মাত্র পিছলে নিচে নেমে আসছে।
সালোয়ার কামিজ পড়ায় শরীরের কোন অংশ দেখা না গেলেও,পেটে একদম লেগে থাকা সালোয়ার দেখে দীপ বুঝে যায় কতটা সুগঠিত শরীর ম্যামের।যেন একটা ভাস্কর্য তৈরী করে,তাতে দুধে-আলতা রং লেপে দিয়ে তারপর তাতে প্রাণ দান করা হয়েছে।নীল রঙের সালোয়ার কামিজ,মাথায় ওড়না দেওয়ায় ম্যামকে আরো সুন্দর লাগছিল।
কিছুক্ষণ উত্তেজিত থাকলেও দীপ নিজেকে সামলে নেয়,রোল নাম্বার 1 -র এসব মানায় না।তাকে পড়াশোনায় মন দিতে হবে।
ম্যাম রোল ডাকা শেষ করে,class X -র কিছু বেসিক চ্যাপ্টারস এর সঙ্গে ইলেভেনের কি যোগাযোগ রয়েছে সেটা বলে প্রাকটিক্যাল আরম্ভ করলেন।Salt test হয়ে গেলে সেটার ব্যাখ্যা বলার মধ্য দিয়ে ক্লাস শেষ করলেন,পরের দিন practical copy তে sign করবেন।
ক্লাস শেষে দীপ বাড়ি ফিরে পড়তে বসে।তবে দীপের মনে ম্যামের প্রতি এক আকর্ষণ থেকে যায়,দীপ নিজেকে বোঝায় হয়তো মেক-আপের জন্যই ম্যামকে অত সুন্দর লাগছিল।দীপ জানেনা ধর্মপ্রাণ মুসলিম মেয়েরা মেক-আপ করে না,ওরা ওদের সৌন্দর্যকে ঢেকে রাখতে চায়।
কিছুদিন পরের কথা,একটা প্রোজেক্ট জমা দেওয়ার জন্য টিচার্স রুমে গিয়ে দ্বীপ অপেক্ষা করছিল।ওখানেই ও মাহনুরকে দেখতে পায়,গোলাপি রঙের একটা সালোয়ারে ওকে খুব সুন্দর লাগছিল।বুকটা ভালোভাবে ঢাকা থাকলেও,দুধগুলো যেন বেরিয়ে আসতে চাইছে।দীপের বাড়াটা শক্ত হয়ে আসছিল,কোনমতে দীপ প্রজেক্ট জমা দিয়ে ক্লাসে চলে আসে।
একদিকে উজ্জ্বল ভবিষ্যত,অন্যদিকে তীব্র আকর্ষণ তারমধ্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ দীপের মধ্যে একটা dillema-র সৃষ্টি করে যদি অধিক এবারের মত এই সমস্ত সমস্যাকে মনের মধ্যেই চাপা দেয়।
বেশ কয়েকদিন পরে,এপ্রিলের শেষের দিক,প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড় উঠেছে স্কুলের মাঠের মধ্যে খুব ধুলো উড়ছে।বিশেষ কারণে ঐদিন টিফিনের পর ছুটি,টিফিন হয়ে গেলেও ঝড়ের কারণে কেউ বাড়ি যেতে পারছিল না।
এদিনও একটা মেরুন রঙের সালোয়ারে মাহনুরকে খুব সুন্দর লাগছিল।দীপ বারবার আড়চোখে দেখছিল। অনেকক্ষণ পরে ঝড় থেমে গেলে দীপ বেসিনের কাছে যায় মুখ ধোয়ার জন্য,ঝড়ে মুখে ধুলো এসে পড়েছে।এসময় মাহনুর মুখ ধোয়া শেষ হলে টিচার্স রুমের দিকে যায়।
দীপ মাহনুরকে দেখে অবাক হয়ে যায়,মুখ ধোয়ার পর যেন ওর সৌন্দর্য আরো বেড়ে গিয়েছে,অদ্ভুত এক স্নিগ্ধ সৌন্দর্য।সেই সঙ্গে এটাও বুঝতে পারে যে মাহনুরের সৌন্দর্য কোন মেকাপের মাধ্যমে করা সৌন্দর্য নয়,এই সৌন্দর্য জন্মগত।দীপের মনে মাহনুরের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যায়।এসময়ের পর থেকেই দীপ মাহনুরের সঙ্গে কথা বলতে,সম্পর্ক তৈরী করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
দীপের আলাদা টিউটর থাকলেও study related বিভিন্ন ব্যাপারে মাহনুরের থেকে advice নেওয়া শুরু করে, মাহনুরও শিক্ষা হিসাবে যতটা সম্ভব হেল্প করবার চেষ্টা করতে লাগলো। কালক্রমে মাহনুরের সঙ্গে ফোনে কথা বলা,WhatsApp Chat বিভিন্ন জায়গায় কথা হতে লাগল।বহু ক্ষেত্রেই তা ব্যাক্তিগত জীবনে প্রবেশ করল।
এসবের মধ্যেই গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায়, যোগাযোগে একটু ব্যাঘাত ঘটলো,আগের মতো প্রায় প্রত্যেকদিন কথা বলা যায় না সপ্তাহে হয়তো একবার কথা হয় তাও নিশ্চয়তা নেই। তবে দীপ ছুটিটাকে নিজের কাজে পুরোপুরি ব্যবহার করল। পড়াশোনার পাশাপাশি মাহনুরের ব্যক্তিগত তথ্য খুঁজতেও পুরোপুরি কাজে লাগালো।নিজের হ্যাকিং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে শুধু ফোন নাম্বারের মাধ্যমে মাহনুরের বাড়ি,ফেসবুক আইডি,বাবা-মায়ের নাম এবং বয়স ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য সে বের করে ফেলল।সম্পূর্ণ মোবাইলটাকেও হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করলেও আইফোন হওয়ার দরুন ব্যর্থ হয়।
মাহনুরের বয়স মাত্র 23 বছর এটা জানতে পেরে, দ্বীপ আনন্দে অভিভূত হয়ে গেল। ওদের মধ্যে বয়সের ফারাক মাত্র 6 বছর।স্বাভাবিকভাবেই আরো কামনা বৃদ্ধি পায় মাহনুরের প্রতি।
এদিকে একসময় গরমের ছুটি শেষ হয়,ছুটি শেষ হওয়ার পর থেকেই দ্বীপ রেগুলারলি স্কুলে যাওয়া শুরু করে শুধু মাহনুরকে একবার দেখার জন্য। দ্বীপের বহু আকাঙ্ক্ষিত ম্যামের সঙ্গে দেখা তো হচ্ছিলই সেই সঙ্গে ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে বহু ক্ষেত্রে ম্যামের আঙ্গুলের ছোঁয়াও পাওয়া যাচ্ছিল। পেন নেওয়া,খাতা দেওয়া এ জাতীয় অজুহাত দ্বীপের জন্য ছিলই।
এরমধ্যে একদিন ওদের স্কুল থেকে BITM-এ যাওয়ার আয়োজন করা হয়।সেদিন সবাইকে পরিষ্কার পোশাক পড়ে আসতে হবে।এমনিতে দীপ রবিবারের ছুটির দিনটিকে নষ্ট করতে আগ্রহী নয়,তবে মাহনুর যাবে বলে সেও রাজি হয়ে যায়।
রবিবার স্কুল থেকেই বাস ছাড়বে,সময়ের আগেই দীপ স্কুলে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল।ঠিক সময় বাস চলে আসে,টিচাররা একটা বাসে যাবে স্টুডেন্টরা অন্য বাসে যাবে।তবে স্টুডেন্টদের দেখাশোনার জন্য একজন টিচার থাকবেন ড্রাইভার এর পাশের সিটে স্টুডেন্টদের বাসে।
সময় পার হয়ে গেলেও মাহনুর আসেনা,এদিকে টিচারদের বাস ছেড়ে গেছে।স্টুডেন্টদের বাসে physics স্যার রয়েছেন দেখভালের জন্য।পরের বাসটাও প্রায় ছাড়বে এমন সময় মাহনুর আসে,বাধ্য হয়েই ওকে এই বাসে উঠতে হয়।বাসে উঠে গেলেও বসবার জন্য জায়গা পায়না,সমস্ত সিটেই স্টুডেন্টরা বসে রয়েছে।এতটা পথ দাঁড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না,তাই মাহনুর বসার জায়গা খুজছিল। এমন সময় দ্বীপ ওর পাশে থাকা সামান্য জায়গায় মাহনুরকে বসবার সুযোগ করে দেয়।দীপ একা বসতেই ভালোবাসে,তাই ভলভো বাসের একদম সামনের সিটে দেড় জনের জায়গায় সে একা বসে ছিল,এখন তার প্রিয় ম্যাম তার পাশে বসেছে।
একটু অসুবিধা হলেও দুজনেই চাপাচাপি করে আরাম করে বসে।দীপের খুব ভালোই লাগছিল তার স্বপ্নের রানী তার পাশে এসে বসেছে।
এদিকে মাহনুরকে দেখেই দীপের অবস্থা খারাপ।লাল রঙের শাড়ী পরে যেন কোন কামদেবী ওর সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে। আধুনিক শৈলীতে পড়া শাড়ীর বাম পাশ দিয়ে মাহনুরের পেটটা দেখা যাচ্ছে আর ঠিক মাঝে সুগভীর মোহনীয় নাভিটা শোভা পাচ্ছে।ধ্রুপদী কার্ভি ফিগারের অধিকারিনী এই মেয়েটিকে দেখে দিকের বাড়া শক্ত আরম্ভ করলো।মাহনুর যথেষ্ট নিরাপত্তা নিলেও,দীপের বুভুক্ষ চোখ ঠিকই মাহনুরের শরীরকে মেপে চলেছিল।আর মাহনুরের লম্বা আঙুলগুলোকে দেখে দীপের চুষতে ইচ্ছা করছিল।
এসবের মধ্যেই ওরা পৌঁছে যায়,সারাদিন বিভিন্ন project-arcitechture দেখে বিকেল বেলা স্কুলে ফেরে।সারাদিনে দীপ মাত্র একবার ম্যামের আঙুলগুলোকে ছুতে পেরেছে।
সময় পার হয়ে যায়,একসময় পুজোর ছুটি পড়ে।এসময় একটি দুর্ঘটনায় দীপের মা মারা যান।দীপ বেশ কিছুদিনের জন্য একদম শান্ত হয়ে যায়।সময়ের নিয়মে একদিন স্কুল খোলে,স্কুলে সবাই ওকে সান্তনা দেয়।তবে মাহনুর কিছু বলে না। ছুটির পরে মাহনুর দ্বীপকে প্রায় জোর করে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়,সেখানেই বেশ কিছু কথা হয়:
মাহনুর- দেখো দীপ, যে যাবার সে যাবেই তুমি কষ্ট পেয়ে কখনোই তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না মাঝখান থেকে নিজের ফিউচারটা নষ্ট করে লাভ কি?
দীপ(বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে)-মা ছাড়া আমার আর কে আছে?বাবা ips officer,অধিকাংশ দিন বাড়ি থাকে না,থাকলেও রাতে ফিরে সকালে বেরিয়ে যায়।আমার সমস্ত সুখ দুঃখের সঙ্গে মা ছিল এখন আমার কেউ রইল না।
মাহনুর- আমার আব্বু আমার চার বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন,আমার আম্মু আমাকে লোকের বাড়িতে কাজ করে মানুষ করেছেন আমি যদি আব্বার দুঃখে শোক করতাম তবে আমি এখানে থাকতাম না।
এরকম বিভিন্ন শান্তনামূলক কথা বলে মাহনুর দ্বীপের কষ্ট খর্ব করবার চেষ্টা করে,অনেকটা সফলও হয়।বেশ কিছুদিনের মধ্যেই দীপ প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
তবে মা মারা যাবার পরে দ্বীপের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত কিছু পরিবর্তন হয়। কু-বন্ধুর সংখ্যা দিন প্রতিদিন বাড়তে থাকে।আগে মা ছিলেন,এখন বাড়িতে একা।বাবা রাতে ফেরেন,তার পক্ষে সব দেখা সম্ভব না,আর সবাই জানে খালি মন শয়তানের কারখানা।
দীপের মনে নারীসঙ্গমের উদগ্র বাসনা তৈরী হয়েছে,মাহনুরকে কেন্দ্র করে।সে ফলো করে মাহনুরের বাড়ির ঠিকানা বের করে ফেলেছে,চৌরঙ্গীতেই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকে।
প্রায় একমাসের মধ্যেই পরিস্থিতি এমন জায়গায় গেল,দীপ ওর প্রিয় ম্যামকে ধর্ষণও করতে পারে।দীপের মনে এলো সোজা হিসাব,মুর্শিদাবাদের বাপ মরা মেয়ে,এখানে কি হলো কে দেখছে?
সব হিসাব করেই দীপ একটা পরিকল্পনা করল।
পর্ব 1 সমাপ্ত
মনটা একদম ভালো নেই দীপের।ঋতদীপ ঘোষ,মাধ্যমিকে 3rd।তবে নতুন স্কুলে এসে পড়ায় মন বসতেই চাইছে না আর।মাধ্যমিকে 700 তে 693 পাওয়ার পর JEE Mains-এ focus করবার জন্য নিজের স্বনামধন্য স্কুল ছেড়ে একটা তুলনামূলক সাধারণ স্কুলে ভর্তি হয়,শুধু attendance র সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য।হেডমাস্টার attendance র জন্য জোড়াজোড়ি করেননি,তবে HS এ ভালো নম্বর পেতেই হবে।
আগের স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গেও আজকাল যোগাযোগ নেই,নতুন বন্ধু কিছু হয়েছে তবে সেগুলো একেবারেই মেধাহীন।স্বাভাবিকভাবেই স্কুলের প্রতি দীপের আকর্ষণ নেই,সপ্তাহে মোটে 1 দিন যায় তাও practical -এ।
এইভাবে একমাস কেটে যায়,এবার ওদের এক কেমিস্ট্রি টিচার ট্রান্সফার হয়ে অন্য একজন ম্যাচ আসেন।উনি এবারেই SSC-TET পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন।স্বাভাবিকভাবেই অল্পবয়সী।যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্রী,মাহনুর সিদ্দিকি।
এককালে উত্তর কলকাতা বামমনস্ক হলেও,আধুনিক সময়ে বিজেপির উত্থানে সাম্প্রদায়িকতার বৃদ্ধি হয়েছে।অপরিণত মস্তিষ্ক সহজেই প্রভাবিত হয়।তাই দীপের মনেও মুসলিম-বিদ্বেষ ভয়াবহ আকার নিয়েছে,বাবা-মা ধর্মনিরপেক্ষ তাই একথা সামনাসামনি বলতে পারে না।তবে মনে মনে মুসলিমদের প্রতি ঘেন্না,এবং পারতপক্ষে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।
শুরুতে দীপ এড়িয়ে চলারই চেষ্টা করেছিল,তবে ছোট স্কুল হওয়ায় XI ও XII -র জন্য একজনকেই assign করা হয়েছে, এছাড়া V-X -র জন্য অন্য teacher রয়েছে।
সাধারণ ক্লাসগুলো দ্বীপ না করলেও প্র্যাকটিক্যাল গুলোতে যাওয়া compulsory।অগত্যা দীপ practical-র দিন স্কুলে গিয়ে অপেক্ষা করছিল স্কুল শেষে ছুটির।প্রথম চারটে পিরিয়ড হয়ে যাওয়ার পরে টিফিন শেষ করে প্র্যাকটিক্যাল ল্যাবে গিয়ে ফার্স্ট bench-এ বসে পড়ে। ওদের সাইন্স গ্রুপে বেশি স্টুডেন্ট নেই,11 টা ছেলে 8 টা মেয়ে।আজকেই দীপের সঙ্গে ম্যামের প্রথম দেখা।
কিছুক্ষণ পরেই ম্যাম ক্লাসে ঢোকেন,অন্যদের কি অবস্থা দ্বীপ জানেনা,তবে ম্যামকে দেখে দীপ অবাক হয়ে যায়,কোন মানুষ এত সুন্দর কি করে হতে পারে?
কি অপরূপ সুন্দরী!তন্বী চেহারা,উজ্জ্বল স্বর্ণালী ফর্সা,লম্বা কায়া,আধফোটা পদ্মের মতো টানা টানা নেশা ভরা ঢুলু ঢুলু দুটো চোখ,তার উপরে ঘন কালো একজোড়া ভুরু।
গাল দুটো যেন ছোট ছোট দুটো তুলোর বল,টিকালো নাক,গোলাপের পাপড়ির মতো গোলাপি ঠোঁট দুটোও একেবারে নিখুত- আর তাতে সর্বদা এক মিষ্টি হাসি লেগে আছে!আর মাথায় মাঝ পিঠ পর্যন্ত লম্বা ঘন চমকালো চুল। এমন অপরূপ সুন্দরী দীপ আগে কখনও স্বচক্ষে দেখে নি।আর চিকন কোমরটা যেন মাখন মাখা মসৃণ একটা আয়না।দীপের চোখটা সেখানে পড়া মাত্র পিছলে নিচে নেমে আসছে।
সালোয়ার কামিজ পড়ায় শরীরের কোন অংশ দেখা না গেলেও,পেটে একদম লেগে থাকা সালোয়ার দেখে দীপ বুঝে যায় কতটা সুগঠিত শরীর ম্যামের।যেন একটা ভাস্কর্য তৈরী করে,তাতে দুধে-আলতা রং লেপে দিয়ে তারপর তাতে প্রাণ দান করা হয়েছে।নীল রঙের সালোয়ার কামিজ,মাথায় ওড়না দেওয়ায় ম্যামকে আরো সুন্দর লাগছিল।
কিছুক্ষণ উত্তেজিত থাকলেও দীপ নিজেকে সামলে নেয়,রোল নাম্বার 1 -র এসব মানায় না।তাকে পড়াশোনায় মন দিতে হবে।
ম্যাম রোল ডাকা শেষ করে,class X -র কিছু বেসিক চ্যাপ্টারস এর সঙ্গে ইলেভেনের কি যোগাযোগ রয়েছে সেটা বলে প্রাকটিক্যাল আরম্ভ করলেন।Salt test হয়ে গেলে সেটার ব্যাখ্যা বলার মধ্য দিয়ে ক্লাস শেষ করলেন,পরের দিন practical copy তে sign করবেন।
ক্লাস শেষে দীপ বাড়ি ফিরে পড়তে বসে।তবে দীপের মনে ম্যামের প্রতি এক আকর্ষণ থেকে যায়,দীপ নিজেকে বোঝায় হয়তো মেক-আপের জন্যই ম্যামকে অত সুন্দর লাগছিল।দীপ জানেনা ধর্মপ্রাণ মুসলিম মেয়েরা মেক-আপ করে না,ওরা ওদের সৌন্দর্যকে ঢেকে রাখতে চায়।
কিছুদিন পরের কথা,একটা প্রোজেক্ট জমা দেওয়ার জন্য টিচার্স রুমে গিয়ে দ্বীপ অপেক্ষা করছিল।ওখানেই ও মাহনুরকে দেখতে পায়,গোলাপি রঙের একটা সালোয়ারে ওকে খুব সুন্দর লাগছিল।বুকটা ভালোভাবে ঢাকা থাকলেও,দুধগুলো যেন বেরিয়ে আসতে চাইছে।দীপের বাড়াটা শক্ত হয়ে আসছিল,কোনমতে দীপ প্রজেক্ট জমা দিয়ে ক্লাসে চলে আসে।
একদিকে উজ্জ্বল ভবিষ্যত,অন্যদিকে তীব্র আকর্ষণ তারমধ্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ দীপের মধ্যে একটা dillema-র সৃষ্টি করে যদি অধিক এবারের মত এই সমস্ত সমস্যাকে মনের মধ্যেই চাপা দেয়।
বেশ কয়েকদিন পরে,এপ্রিলের শেষের দিক,প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড় উঠেছে স্কুলের মাঠের মধ্যে খুব ধুলো উড়ছে।বিশেষ কারণে ঐদিন টিফিনের পর ছুটি,টিফিন হয়ে গেলেও ঝড়ের কারণে কেউ বাড়ি যেতে পারছিল না।
এদিনও একটা মেরুন রঙের সালোয়ারে মাহনুরকে খুব সুন্দর লাগছিল।দীপ বারবার আড়চোখে দেখছিল। অনেকক্ষণ পরে ঝড় থেমে গেলে দীপ বেসিনের কাছে যায় মুখ ধোয়ার জন্য,ঝড়ে মুখে ধুলো এসে পড়েছে।এসময় মাহনুর মুখ ধোয়া শেষ হলে টিচার্স রুমের দিকে যায়।
দীপ মাহনুরকে দেখে অবাক হয়ে যায়,মুখ ধোয়ার পর যেন ওর সৌন্দর্য আরো বেড়ে গিয়েছে,অদ্ভুত এক স্নিগ্ধ সৌন্দর্য।সেই সঙ্গে এটাও বুঝতে পারে যে মাহনুরের সৌন্দর্য কোন মেকাপের মাধ্যমে করা সৌন্দর্য নয়,এই সৌন্দর্য জন্মগত।দীপের মনে মাহনুরের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যায়।এসময়ের পর থেকেই দীপ মাহনুরের সঙ্গে কথা বলতে,সম্পর্ক তৈরী করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
দীপের আলাদা টিউটর থাকলেও study related বিভিন্ন ব্যাপারে মাহনুরের থেকে advice নেওয়া শুরু করে, মাহনুরও শিক্ষা হিসাবে যতটা সম্ভব হেল্প করবার চেষ্টা করতে লাগলো। কালক্রমে মাহনুরের সঙ্গে ফোনে কথা বলা,WhatsApp Chat বিভিন্ন জায়গায় কথা হতে লাগল।বহু ক্ষেত্রেই তা ব্যাক্তিগত জীবনে প্রবেশ করল।
এসবের মধ্যেই গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায়, যোগাযোগে একটু ব্যাঘাত ঘটলো,আগের মতো প্রায় প্রত্যেকদিন কথা বলা যায় না সপ্তাহে হয়তো একবার কথা হয় তাও নিশ্চয়তা নেই। তবে দীপ ছুটিটাকে নিজের কাজে পুরোপুরি ব্যবহার করল। পড়াশোনার পাশাপাশি মাহনুরের ব্যক্তিগত তথ্য খুঁজতেও পুরোপুরি কাজে লাগালো।নিজের হ্যাকিং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে শুধু ফোন নাম্বারের মাধ্যমে মাহনুরের বাড়ি,ফেসবুক আইডি,বাবা-মায়ের নাম এবং বয়স ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য সে বের করে ফেলল।সম্পূর্ণ মোবাইলটাকেও হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করলেও আইফোন হওয়ার দরুন ব্যর্থ হয়।
মাহনুরের বয়স মাত্র 23 বছর এটা জানতে পেরে, দ্বীপ আনন্দে অভিভূত হয়ে গেল। ওদের মধ্যে বয়সের ফারাক মাত্র 6 বছর।স্বাভাবিকভাবেই আরো কামনা বৃদ্ধি পায় মাহনুরের প্রতি।
এদিকে একসময় গরমের ছুটি শেষ হয়,ছুটি শেষ হওয়ার পর থেকেই দ্বীপ রেগুলারলি স্কুলে যাওয়া শুরু করে শুধু মাহনুরকে একবার দেখার জন্য। দ্বীপের বহু আকাঙ্ক্ষিত ম্যামের সঙ্গে দেখা তো হচ্ছিলই সেই সঙ্গে ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে বহু ক্ষেত্রে ম্যামের আঙ্গুলের ছোঁয়াও পাওয়া যাচ্ছিল। পেন নেওয়া,খাতা দেওয়া এ জাতীয় অজুহাত দ্বীপের জন্য ছিলই।
এরমধ্যে একদিন ওদের স্কুল থেকে BITM-এ যাওয়ার আয়োজন করা হয়।সেদিন সবাইকে পরিষ্কার পোশাক পড়ে আসতে হবে।এমনিতে দীপ রবিবারের ছুটির দিনটিকে নষ্ট করতে আগ্রহী নয়,তবে মাহনুর যাবে বলে সেও রাজি হয়ে যায়।
রবিবার স্কুল থেকেই বাস ছাড়বে,সময়ের আগেই দীপ স্কুলে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল।ঠিক সময় বাস চলে আসে,টিচাররা একটা বাসে যাবে স্টুডেন্টরা অন্য বাসে যাবে।তবে স্টুডেন্টদের দেখাশোনার জন্য একজন টিচার থাকবেন ড্রাইভার এর পাশের সিটে স্টুডেন্টদের বাসে।
সময় পার হয়ে গেলেও মাহনুর আসেনা,এদিকে টিচারদের বাস ছেড়ে গেছে।স্টুডেন্টদের বাসে physics স্যার রয়েছেন দেখভালের জন্য।পরের বাসটাও প্রায় ছাড়বে এমন সময় মাহনুর আসে,বাধ্য হয়েই ওকে এই বাসে উঠতে হয়।বাসে উঠে গেলেও বসবার জন্য জায়গা পায়না,সমস্ত সিটেই স্টুডেন্টরা বসে রয়েছে।এতটা পথ দাঁড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না,তাই মাহনুর বসার জায়গা খুজছিল। এমন সময় দ্বীপ ওর পাশে থাকা সামান্য জায়গায় মাহনুরকে বসবার সুযোগ করে দেয়।দীপ একা বসতেই ভালোবাসে,তাই ভলভো বাসের একদম সামনের সিটে দেড় জনের জায়গায় সে একা বসে ছিল,এখন তার প্রিয় ম্যাম তার পাশে বসেছে।
একটু অসুবিধা হলেও দুজনেই চাপাচাপি করে আরাম করে বসে।দীপের খুব ভালোই লাগছিল তার স্বপ্নের রানী তার পাশে এসে বসেছে।
এদিকে মাহনুরকে দেখেই দীপের অবস্থা খারাপ।লাল রঙের শাড়ী পরে যেন কোন কামদেবী ওর সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে। আধুনিক শৈলীতে পড়া শাড়ীর বাম পাশ দিয়ে মাহনুরের পেটটা দেখা যাচ্ছে আর ঠিক মাঝে সুগভীর মোহনীয় নাভিটা শোভা পাচ্ছে।ধ্রুপদী কার্ভি ফিগারের অধিকারিনী এই মেয়েটিকে দেখে দিকের বাড়া শক্ত আরম্ভ করলো।মাহনুর যথেষ্ট নিরাপত্তা নিলেও,দীপের বুভুক্ষ চোখ ঠিকই মাহনুরের শরীরকে মেপে চলেছিল।আর মাহনুরের লম্বা আঙুলগুলোকে দেখে দীপের চুষতে ইচ্ছা করছিল।
এসবের মধ্যেই ওরা পৌঁছে যায়,সারাদিন বিভিন্ন project-arcitechture দেখে বিকেল বেলা স্কুলে ফেরে।সারাদিনে দীপ মাত্র একবার ম্যামের আঙুলগুলোকে ছুতে পেরেছে।
সময় পার হয়ে যায়,একসময় পুজোর ছুটি পড়ে।এসময় একটি দুর্ঘটনায় দীপের মা মারা যান।দীপ বেশ কিছুদিনের জন্য একদম শান্ত হয়ে যায়।সময়ের নিয়মে একদিন স্কুল খোলে,স্কুলে সবাই ওকে সান্তনা দেয়।তবে মাহনুর কিছু বলে না। ছুটির পরে মাহনুর দ্বীপকে প্রায় জোর করে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়,সেখানেই বেশ কিছু কথা হয়:
মাহনুর- দেখো দীপ, যে যাবার সে যাবেই তুমি কষ্ট পেয়ে কখনোই তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না মাঝখান থেকে নিজের ফিউচারটা নষ্ট করে লাভ কি?
দীপ(বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে)-মা ছাড়া আমার আর কে আছে?বাবা ips officer,অধিকাংশ দিন বাড়ি থাকে না,থাকলেও রাতে ফিরে সকালে বেরিয়ে যায়।আমার সমস্ত সুখ দুঃখের সঙ্গে মা ছিল এখন আমার কেউ রইল না।
মাহনুর- আমার আব্বু আমার চার বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন,আমার আম্মু আমাকে লোকের বাড়িতে কাজ করে মানুষ করেছেন আমি যদি আব্বার দুঃখে শোক করতাম তবে আমি এখানে থাকতাম না।
এরকম বিভিন্ন শান্তনামূলক কথা বলে মাহনুর দ্বীপের কষ্ট খর্ব করবার চেষ্টা করে,অনেকটা সফলও হয়।বেশ কিছুদিনের মধ্যেই দীপ প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
তবে মা মারা যাবার পরে দ্বীপের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত কিছু পরিবর্তন হয়। কু-বন্ধুর সংখ্যা দিন প্রতিদিন বাড়তে থাকে।আগে মা ছিলেন,এখন বাড়িতে একা।বাবা রাতে ফেরেন,তার পক্ষে সব দেখা সম্ভব না,আর সবাই জানে খালি মন শয়তানের কারখানা।
দীপের মনে নারীসঙ্গমের উদগ্র বাসনা তৈরী হয়েছে,মাহনুরকে কেন্দ্র করে।সে ফলো করে মাহনুরের বাড়ির ঠিকানা বের করে ফেলেছে,চৌরঙ্গীতেই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকে।
প্রায় একমাসের মধ্যেই পরিস্থিতি এমন জায়গায় গেল,দীপ ওর প্রিয় ম্যামকে ধর্ষণও করতে পারে।দীপের মনে এলো সোজা হিসাব,মুর্শিদাবাদের বাপ মরা মেয়ে,এখানে কি হলো কে দেখছে?
সব হিসাব করেই দীপ একটা পরিকল্পনা করল।
পর্ব 1 সমাপ্ত
Last edited: