আজকাল মূলধারার জাতীয় দৈনিক পত্রিকাতেও বাংলাদেশী মুসলিম নারীদের নিয়ে হিন্দুদের ভগবা লাভ ট্র্যাপের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। মাত্র দুই সপ্তাহ আগের ঘটনাঃ
https://www.dailyjanakantha.com/bangladesh/news/718819
কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে সুমন সূত্রধরের টার্গেট মুসলিম প্রবাসীদের স্ত্রীরা
সুমন কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে নিজের নাম ও ধর্মের কথা গোপন করে মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবার ও প্রবাসীদের স্ত্রীদের টার্গেট করে সম্পর্ক করত। এতে বিভিন্ন নারীদের ফাঁদে ফেলে ভোগ ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ওই কাপড় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
ভৈরব বাজারের ১২-১৫ হিন্দু যুবক ব্যবসার আড়ালে প্রবাসীর স্ত্রী ও ভালো ফ্যামেলির নারী কাস্টমারদের টার্গেট করে দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্মে জড়িতের অভিযোগ রয়েছে। ওই হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবকদের সঙ্গে কিছু মুসলিম যুবকদের যোগসূত্র আছে বলে ভৈরব বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ভৈরব বাজারে আসা নারীদের সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে নরসিংদীর গাবতলী এলাকায় তিন সন্তানের জননীর সঙ্গে নারী কেলেংকারীর ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হন ব্যবসায়ী সুমন সূত্রধর। আটকের পর তাকে কয়েক ঘণ্টা আটকিয়ে রাখেন স্থানীয়রা। আটক অবস্থায় ফ্যাশনরুম সুমন নামে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক আইডি থেকে নিজের অপকর্মের কথা অকপটে স্বীকার করে পোস্ট দেন। ওই পোস্ট মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নেটিজেনসহ ভৈরবের সাধারণ মানুষের মাঝে।
ফেসবুক আইডিতে ছড়িয়ে পড়া পোস্টে জানা যায়, ওই নারীর নাম অনু। তিন সন্তানের জননী সে। চার বছর আগে ভৈরব নিউ মার্কেটে অভিযুক্ত সুমনের কাপড়ের দোকানে কাপড় কিনতে আসার সুবাদে পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রায়ই নরসিংদী গিয়ে রেস্টুরেন্টে দেখা করত। ওই ভুক্তভোগী নারী সুমনকে মানা করার পরও সে তাকে নিয়মিত ডিস্টার্ব করত।
পহেলা বৈশাখের দিন রবিবার বিকেলে আধা ঘণ্টা জিম করে ওই নারীর বাড়িতে যায় দেখা করতে। এ সময় স্থানীয়রা অভিযুক্ত সুমন সূত্রধরকে আটক করে। সুমন হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও নিজের নামের পর কৌশলগত কারণে সূত্রধর ট্যাগ ব্যবহার করত না। মুসলমান ও প্রবাসীদের স্ত্রীরাই ছিল তার মূল টার্গেট।
স্থানীয়দের হাতে আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব ঘটনা স্বীকার করে সে। এ সময় সুমন ওই নারীকে বিয়ে করতে বলায় ভুক্তভোগী নারী সুমনের গলার কলার ধরে টানতে থাকে। তিনি বলেন, সুমন তাকে আপা বলে ডাকতেন এবং তার মেয়েকে ভাগিনী বলে ডাকত। নারী তখন বলেন, আমাকে বিয়ে করতে বললি কেন?