Mrs. Faria Chowdhury
Well-known member
কখনো ভাবিনি কোনো একমন্দিরে আমার বিয়ে হবে তাও এক হিন্দু ছেলের সাথে।
সিথি তে সিদুরঁ।পরনে কালো বোরখা।মাথার হিজাবটা নেই ।হয়তো তা কোথাও পরে আছে।
আমার সামনের ছেলেটি বারবার বলছে আয়াত কান্না বন্ধ করো। কিন্তু শেষের বারটা চিৎকার করে বলায়
ভয়ে আমার পুরো কেপে উঠে । এবার আমার কান্না বন্ধ হয়েগেছে। কিন্তু বারবার হেচকি।উঠছে এটা দেখে তার হাতে থাকা হকিস্টীক নিয়ে দেয়ালে স্বজোরে বারি দিয়ে চিৎকার করে বলে চুপ একদম চুপ। না করা সত্তে ও কেনো বিয়ের জন্য রাজি হলি। আর তাও লুকিয়ে তুই কি ভাবছোত আমি কিছু ই জানবো না। রৌনাক সেন। যার হাত থেকে কেউ পার পায়না আর তুই নাকি পার পেয়ে যাবি।
আমি কান্নারত অবস্থায় বললাম। আমি বাসায় যাবো। হ্যাঁ বাসায়তো যাবি কিন্তু এখন না। সন্ধ্যা হোক তারপর তার আগে না।
আমি আয়াত।মাদ্রাসায় পরি। আমার আপন বলতে শুধু দাদি। আর কেউ নেই। হ্যাঁ আমি একজন মুসলমান।
আর যে আমার সিথিঁতে সিঁদুরে রাঙিয়ে দিলো সে একজন হিন্দু পরিবারের ছেলে। সবাই ভাবছেন এক মুসলিম মেয়ের সাথে হিন্দু ছেলের সম্পর্ক কিভাবে। চলুন।তাদের কাহিনি তে।
কখন কার জিবনে কার আগমন ঘটে কেউ জানেনা। সরকমভাবে আমার জীবনে আগমন ঘটে এই রৌণাক সেনের। সেদিন ছিলো বিকাল আমি মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফিরার পথে আমি আর আমার কিছু বন্ধুবী।
রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। তার আগের দিন বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় চ্যাপচ্যাপ পানি।আমরা হাটছি আর কথা বলছি
পথের মাঝখানে অল্প পানি তাই সবাই ঘুরে যাচ্ছে। আমি না ঘুরে ঐ পানির উপর দিয়ে লাফ দিয়ে ওদের দিকে ফিরে জোরে একটা হাসি দেই। কারন এই রাস্তায় এবং এর আশে পাশে সচরাচর কেউ থাকেনা। কিন্তু আজ আর তা হলোনা।আমি তাদের দিক থেকে ফিরে সামনেরদিকে তাকাতেই দেখি মাঠ ভরা ছেলেরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।আমি মনে করেছি।আমার হাসির জন্য তাকিয়ে কিন্তু না আমাকে ভূলপ্রমান করে দিয়ে।একছেলে বলল ঐ তোমার পায়ের নিচের বল টা এইদিকে দাও।আমি আমার বান্ধু বীদের দিকে তাকিয়ে দেখলাম।তারা দাড়িয়েআছে এখন কি করি।। আমি বল না দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে হাটা শুরু করি। আর কখনো ভাবি নি তারপর
থেকে আমার জিবন পাল্টে যাবে।
মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার পর একটা মেয়ে এসে হাতে চকলেট দিয়ে চলে যাচ্ছিল। আমি ডাকলাম এই এইইইইইইই পিচ্ছি দাড়াও দাড়াও বলছি।এদিকে আসো।
পিচ্ছিটি আমার ডাকে সাড়া দিতে তাকে শুধালাম,
এখন বলো চকলেট কে দিছে?
ঐখানের একটা ভাইয়া দিছে।বলে মেয়েটা দৌড়ে পালালো।
আমার ডানসাইদে তাকালাম সেখানে অনেক ছেলে। কে দিছে কি ভাবে বোঝবো।জীবনে প্রথম আমার সাথে এরকম হলো। তাও কে দিছে জানিনা। আমার চকলেট খুব প্রিয় l কিন্তু কে না কে দিছে।তাই ওটা নিয়েই ।হাটা ধরলাম রাস্তায় এক ভিক্ষুক কে দিয়ে দিলাম। কিন্তু আমিতো জানি না দুজোড়া চোখ আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে
লেখিকা জুয়াইরিয়া ইসলাম
শিউলি ফুল
সূচনা পর্ব
চলবে.........
সিথি তে সিদুরঁ।পরনে কালো বোরখা।মাথার হিজাবটা নেই ।হয়তো তা কোথাও পরে আছে।
আমার সামনের ছেলেটি বারবার বলছে আয়াত কান্না বন্ধ করো। কিন্তু শেষের বারটা চিৎকার করে বলায়
ভয়ে আমার পুরো কেপে উঠে । এবার আমার কান্না বন্ধ হয়েগেছে। কিন্তু বারবার হেচকি।উঠছে এটা দেখে তার হাতে থাকা হকিস্টীক নিয়ে দেয়ালে স্বজোরে বারি দিয়ে চিৎকার করে বলে চুপ একদম চুপ। না করা সত্তে ও কেনো বিয়ের জন্য রাজি হলি। আর তাও লুকিয়ে তুই কি ভাবছোত আমি কিছু ই জানবো না। রৌনাক সেন। যার হাত থেকে কেউ পার পায়না আর তুই নাকি পার পেয়ে যাবি।
আমি কান্নারত অবস্থায় বললাম। আমি বাসায় যাবো। হ্যাঁ বাসায়তো যাবি কিন্তু এখন না। সন্ধ্যা হোক তারপর তার আগে না।
আমি আয়াত।মাদ্রাসায় পরি। আমার আপন বলতে শুধু দাদি। আর কেউ নেই। হ্যাঁ আমি একজন মুসলমান।
আর যে আমার সিথিঁতে সিঁদুরে রাঙিয়ে দিলো সে একজন হিন্দু পরিবারের ছেলে। সবাই ভাবছেন এক মুসলিম মেয়ের সাথে হিন্দু ছেলের সম্পর্ক কিভাবে। চলুন।তাদের কাহিনি তে।
কখন কার জিবনে কার আগমন ঘটে কেউ জানেনা। সরকমভাবে আমার জীবনে আগমন ঘটে এই রৌণাক সেনের। সেদিন ছিলো বিকাল আমি মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফিরার পথে আমি আর আমার কিছু বন্ধুবী।
রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। তার আগের দিন বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় চ্যাপচ্যাপ পানি।আমরা হাটছি আর কথা বলছি
পথের মাঝখানে অল্প পানি তাই সবাই ঘুরে যাচ্ছে। আমি না ঘুরে ঐ পানির উপর দিয়ে লাফ দিয়ে ওদের দিকে ফিরে জোরে একটা হাসি দেই। কারন এই রাস্তায় এবং এর আশে পাশে সচরাচর কেউ থাকেনা। কিন্তু আজ আর তা হলোনা।আমি তাদের দিক থেকে ফিরে সামনেরদিকে তাকাতেই দেখি মাঠ ভরা ছেলেরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।আমি মনে করেছি।আমার হাসির জন্য তাকিয়ে কিন্তু না আমাকে ভূলপ্রমান করে দিয়ে।একছেলে বলল ঐ তোমার পায়ের নিচের বল টা এইদিকে দাও।আমি আমার বান্ধু বীদের দিকে তাকিয়ে দেখলাম।তারা দাড়িয়েআছে এখন কি করি।। আমি বল না দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে হাটা শুরু করি। আর কখনো ভাবি নি তারপর
থেকে আমার জিবন পাল্টে যাবে।
মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার পর একটা মেয়ে এসে হাতে চকলেট দিয়ে চলে যাচ্ছিল। আমি ডাকলাম এই এইইইইইইই পিচ্ছি দাড়াও দাড়াও বলছি।এদিকে আসো।
পিচ্ছিটি আমার ডাকে সাড়া দিতে তাকে শুধালাম,
এখন বলো চকলেট কে দিছে?
ঐখানের একটা ভাইয়া দিছে।বলে মেয়েটা দৌড়ে পালালো।
আমার ডানসাইদে তাকালাম সেখানে অনেক ছেলে। কে দিছে কি ভাবে বোঝবো।জীবনে প্রথম আমার সাথে এরকম হলো। তাও কে দিছে জানিনা। আমার চকলেট খুব প্রিয় l কিন্তু কে না কে দিছে।তাই ওটা নিয়েই ।হাটা ধরলাম রাস্তায় এক ভিক্ষুক কে দিয়ে দিলাম। কিন্তু আমিতো জানি না দুজোড়া চোখ আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে
লেখিকা জুয়াইরিয়া ইসলাম
শিউলি ফুল
সূচনা পর্ব
চলবে.........