deppj4109
Member
দৃশ্যপট ১:
পাপ্পু (উচ্চতা ৫.৪”, গায়ের রঙ শ্যামলা ৩০ বছর বয়স) ফরেস্ট অফিসার হিসাবে আজই জয়েন করল বিহারের জঙ্গলে। জায়গাটা খুবই নির্জন। ফরেস্ট বাংলো থেকে একটা কাচা ইটের রাস্তা চলে গেছে বামদিকে সেটা মাইল খানেক পরে একটা ছোট নদীর উপরের ব্রীজ পার হয়ে চলে গেছে গ্রামের ভেতরে। নদীর ওপর পাশে গ্রাম শুরু। শহর এখান থেকে মাইল দশেক দুরে। আর বাংলো থেকে ডান দিকে আরেকটা কাচা মাটির রাস্তা চলে গেছে জঙ্গলের ভেতরে। যেই রাস্তা ধরে গেলে প্রায় মাইল দুয়েক পরে ফরেস্ট অফিস, জঙ্গলের মধ্যে। লোকসংখ্যা কম অফিসে, মাত্র ৫ জন কনস্টেবল, যারা লোকাল। কিছুদিন ধরেই নাকি জঙ্গলে চোরাকারবারিদের সমস্যা প্রকট রুপ ধারন করেছে। তাই ঠেকাতেই পাপ্পুকে এখানে আনা। পাপ্পু একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের ছেলে, সৎ এবং প্রতিবাদী। প্রথম দিনই অফিসে সবাইকে তটস্থ করে ফেলল। তারপর দুপুরেই বাংলোতে রওনা দিল। বাংলোতে স্ত্রী মরিয়ম একা। তাদের বিয়ে হয়েছে বছর তিনেক, কোন বাচ্চা কাচ্চা নাই। তাই একা স্ত্রীকে ঘর গোছাতে সাহায্য করতে আসল। বাংলোর গেইটে একমাত্র দারোয়ান বিহারীলাল। আর কাজের বুয়া, চম্পা। দোতলা চার কক্ষ আর বড় ডাইনিং হল বিশিষ্ট বাংলোতে লোক মোটে এই কয়জন। এসেই দেখল চম্পা আর মরিয়ম মোটামুটি সব গুছিয়ে রান্না করতে গেছে। বিহারীলাল বাজার করে দিয়েছে। পাপ্পুকে দেখে মরিয়ম দ্রুত পানি নিয়ে চলে এল। স্বামী ভক্ত মরিয়ম, স্বামীর কোন কষ্ট না হয় সেদিকে খুবই খেয়াল রাখে। স্বামীর অসন্তুষ্টি তার মৃত্যুর পরে কষ্টের কারণ না হয় সেদিকে খুবই সতর্ক মরিয়ম। পানির গ্লাস এক চুমুকে শেষ করে পাপ্পু মরিয়মের ৫.৪” উচ্চতার ৩৪-২৮-৩৮ এর ফর্সা শরীরটাকে জড়িয়ে ধরে কপালে একটা চুমু একে দিল। তারপর মরিয়ম চম্পা দেখে ফেলবে এই কারণে দ্রুত চলে গেল। রান্নাশেষে দুপুরের খাওয়া শেষ করে পাপ্পু গাড়িতে করে চলে গেল অফিসে। অফিসে যাওয়ার আগে আবার মরিয়মের কপালে চুমু খেল। দুজনের মধ্যে ভালবাসা অসীম, এগুলোই তার বহিপ্রকাশ। অফিসে আগেই উপস্থিত ছিল সুরজিৎ শেঠ। সেই ছিল মুলত জঙ্গলে চোরাকারবারির মাস্টার মাইন্ড এবং RSS এর একজন সদস্য। ৫.৮” উচ্চতার ৩৫ বছরের লোকটিকে এক কনস্টেবল ফোন দিয়ে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে নতুন অফিসারের তৎপরতার খবর। পাপ্পু আসলেই সুরজিৎ তার রুমে যেয়ে, সামনে একটা টাকার ব্যাগ রেখে হেসে বলল স্যার আমি সুরজিৎ শেঠ। আর আমি সরাসরি কথাতে বিশ্বাসী। আমরা একটা সমঝোতাতে আসতে পারি স্যার। আপনি আমাদের কাজে কোন হস্তক্ষেপ করবেন না বিনিময়ে আপনার দেখাশোনা করা বা সুরক্ষার দায়িত্ব আমার। সুরজিৎ এর কথা শুনে বুঝতে বাকি রইল না সে কে। সাথে সাথেই মাথা গরম হয়ে গেল সৎ নির্ভীক পাপ্পুর। হাত সটান করেই একটা থাপ্পড় কষে দিল সুরজিৎ এর গালে আর বলল বেড়িয়ে যাও এখান থেকে। এরপরে এমন সাহস দেখালে সরাসরি গারদে পাঠিয়ে দেব। সুরজিৎ রাগে কটমট করে তাকাতে তাকাতে ব্যাগ উঠিয়ে চলে গেল...
পাপ্পু (উচ্চতা ৫.৪”, গায়ের রঙ শ্যামলা ৩০ বছর বয়স) ফরেস্ট অফিসার হিসাবে আজই জয়েন করল বিহারের জঙ্গলে। জায়গাটা খুবই নির্জন। ফরেস্ট বাংলো থেকে একটা কাচা ইটের রাস্তা চলে গেছে বামদিকে সেটা মাইল খানেক পরে একটা ছোট নদীর উপরের ব্রীজ পার হয়ে চলে গেছে গ্রামের ভেতরে। নদীর ওপর পাশে গ্রাম শুরু। শহর এখান থেকে মাইল দশেক দুরে। আর বাংলো থেকে ডান দিকে আরেকটা কাচা মাটির রাস্তা চলে গেছে জঙ্গলের ভেতরে। যেই রাস্তা ধরে গেলে প্রায় মাইল দুয়েক পরে ফরেস্ট অফিস, জঙ্গলের মধ্যে। লোকসংখ্যা কম অফিসে, মাত্র ৫ জন কনস্টেবল, যারা লোকাল। কিছুদিন ধরেই নাকি জঙ্গলে চোরাকারবারিদের সমস্যা প্রকট রুপ ধারন করেছে। তাই ঠেকাতেই পাপ্পুকে এখানে আনা। পাপ্পু একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের ছেলে, সৎ এবং প্রতিবাদী। প্রথম দিনই অফিসে সবাইকে তটস্থ করে ফেলল। তারপর দুপুরেই বাংলোতে রওনা দিল। বাংলোতে স্ত্রী মরিয়ম একা। তাদের বিয়ে হয়েছে বছর তিনেক, কোন বাচ্চা কাচ্চা নাই। তাই একা স্ত্রীকে ঘর গোছাতে সাহায্য করতে আসল। বাংলোর গেইটে একমাত্র দারোয়ান বিহারীলাল। আর কাজের বুয়া, চম্পা। দোতলা চার কক্ষ আর বড় ডাইনিং হল বিশিষ্ট বাংলোতে লোক মোটে এই কয়জন। এসেই দেখল চম্পা আর মরিয়ম মোটামুটি সব গুছিয়ে রান্না করতে গেছে। বিহারীলাল বাজার করে দিয়েছে। পাপ্পুকে দেখে মরিয়ম দ্রুত পানি নিয়ে চলে এল। স্বামী ভক্ত মরিয়ম, স্বামীর কোন কষ্ট না হয় সেদিকে খুবই খেয়াল রাখে। স্বামীর অসন্তুষ্টি তার মৃত্যুর পরে কষ্টের কারণ না হয় সেদিকে খুবই সতর্ক মরিয়ম। পানির গ্লাস এক চুমুকে শেষ করে পাপ্পু মরিয়মের ৫.৪” উচ্চতার ৩৪-২৮-৩৮ এর ফর্সা শরীরটাকে জড়িয়ে ধরে কপালে একটা চুমু একে দিল। তারপর মরিয়ম চম্পা দেখে ফেলবে এই কারণে দ্রুত চলে গেল। রান্নাশেষে দুপুরের খাওয়া শেষ করে পাপ্পু গাড়িতে করে চলে গেল অফিসে। অফিসে যাওয়ার আগে আবার মরিয়মের কপালে চুমু খেল। দুজনের মধ্যে ভালবাসা অসীম, এগুলোই তার বহিপ্রকাশ। অফিসে আগেই উপস্থিত ছিল সুরজিৎ শেঠ। সেই ছিল মুলত জঙ্গলে চোরাকারবারির মাস্টার মাইন্ড এবং RSS এর একজন সদস্য। ৫.৮” উচ্চতার ৩৫ বছরের লোকটিকে এক কনস্টেবল ফোন দিয়ে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে নতুন অফিসারের তৎপরতার খবর। পাপ্পু আসলেই সুরজিৎ তার রুমে যেয়ে, সামনে একটা টাকার ব্যাগ রেখে হেসে বলল স্যার আমি সুরজিৎ শেঠ। আর আমি সরাসরি কথাতে বিশ্বাসী। আমরা একটা সমঝোতাতে আসতে পারি স্যার। আপনি আমাদের কাজে কোন হস্তক্ষেপ করবেন না বিনিময়ে আপনার দেখাশোনা করা বা সুরক্ষার দায়িত্ব আমার। সুরজিৎ এর কথা শুনে বুঝতে বাকি রইল না সে কে। সাথে সাথেই মাথা গরম হয়ে গেল সৎ নির্ভীক পাপ্পুর। হাত সটান করেই একটা থাপ্পড় কষে দিল সুরজিৎ এর গালে আর বলল বেড়িয়ে যাও এখান থেকে। এরপরে এমন সাহস দেখালে সরাসরি গারদে পাঠিয়ে দেব। সুরজিৎ রাগে কটমট করে তাকাতে তাকাতে ব্যাগ উঠিয়ে চলে গেল...
Last edited: