Hello there guest and welcome to InterfaithLovers - home of quality interfaith erotica!
To gain full access you must Register. Registration is free and it takes only a few moments to complete.
Already a member? Login here then!

বেইলী রোডের অগ্নিকান্ড ফাস করল গোপন ঘর ওয়াপসি

rahulavijit

Well-known member
2fe7ff78a4fae671687c307cc9a6ca1a-65e2afb51dc28.webp
111-2403021319.jpg
ghar.png
gh5.png
 
ভগবা ট্র্যাপার এর নাম পাওয়া গেছেঃ "তুষার হালদার"
11111111111-1.gif

ষাঁঢ়ের বয়স মনে হচ্ছে গাভীর তুলনায় ছোট...
 


মরদেহ ওয়াপাস নিতে কালীমন্দিরের পুরুত মশাইয়ের আগ্রহ...

বেইলি রোডের আগুনে নিহত নারী সাংবাদিকের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্ক দেখা দেওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তার মরদেহ হস্তান্তর করবে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ওই নারী সাংবাদিক ফেইসবুক ও কর্মস্থলে নিজেকে পরিচয় দিতেন অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে। তবে মৃত্যুর পর বাবা, ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা এসে দাবি করেছেন, আগুনে নিহত সাংবাদিকের নাম বৃষ্টি খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়।

নিহত নারী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামেই ঢাকায় সাংবাদিকতা করতেন। কর্মস্থলেও তার পরিচিত ছিলো অভিশ্রুতি নামেই।

এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই মরদেহ নিতে খোকসা থেকে ছুটে আসেন তার বাবা সাবরুল আলম সবুজ। তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধনসহ সর্বত্র তার নাম বৃষ্টি।

তবে ওই নারী সাংবাদিকের জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, চাকরির জন্মবৃত্তান্তে বাবা-মায়ের নামে বিভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া গেছে। তবে স্থায়ী ঠিকানা সব জায়গায় একই।

অভিশ্রুতির মামাতো ভাই নাঈম শনিবার একাত্তরকে বলেন, জন্ম নিবন্ধন বলেন, এনআইডি, এসএসসি-ইন্টার মিডিয়েটের সনদসহ যা কিছু কাগজপত্র আছে সব সাবমিট করা হয়েছে। এরপরেও কোনো উত্তর পাচ্ছি না।

‘কোথা থেকে একটা জাল জন্ম নিবন্ধন পাওয়া গেছে। এখন কোর্টের থেকে আদেশ আনতে হবে। এরপরে ডিএনএনর নমুনা নেবে,’ আক্ষেপের সঙ্গে বলেন তিনি।

এদিকে অভিশ্রুতির পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা।

তিনি বলেছেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করতে রমনা থানা ওসি ও ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর রমনা মন্দির থেকে আবেদন করা হয়েছে।

---


মোদীজী কি বেটী (বাংলাস্তান এডিশন)?

রাজধানীর বেইলি রোডের ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মারা যাওয়া সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচয় দেয়া বৃষ্টি খাতুনের জন্ম কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রামে। সেখানকার বাসিন্দা ও স্বজনদের দাবি, তাকে কেউ দত্তক নেয়া হয়নি, তিনি ভারত থেকেও আসেননি

সেই সঙ্গে গেলো বৃহস্পতিবার রাতে গ্রিন কোজি ভবনে আগুনে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিয়ে জটিলতা দেখার খবরে বিস্ময় প্রকাশ করার পাশাপাশি কখন থেকে বৃষ্টি খাতুন নিজেকে হিন্দু আর অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসাবে পরিচয় দেয়া শুরু করেছে, তাও জানে না প্রতিবেশীরা।

নিহত ওই সাংবাদিককে নিজের মেয়ে বলে দাবি করে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার সাবরুল আলম সবুজ লাশ নিতে মর্গে এসেছিলেন। তবে তাকে নিজের মেয়ে দাবি করলেও সবুজ যে জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে এনেছেন, তাতে নাম ‘বৃষ্টি খাতুন’, বাবার নাম ‘সবুজ শেখ’ এবং মায়ের নাম ‘বিউটি বেগম’ লেখা।

কিন্তু নিহত সাংবাদিক পেশাগত জীবনে ও লেখালেখির জগতে নিজেকে ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দিতেন। এনিয়েই জটিলতা দেখা দিলে, লাশ এবং বাবা পরিচয়দানকারী সাবরুল আলম সবুজের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ ম্যাচিংয়ের পর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহের জন্য কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রামে অপেক্ষা করছে তার মা, স্বজন ও প্রতিবেশীরা। তাদের দাবি, খোকসার বাড়িতেই জন্ম নিয়েছে বৃষ্টি। শিশুকাল থেকে লালনপালন করেছেন তারা। বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান হিসাবে সবার অতি আদরের ছিলো সে।

বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া গ্রামে চলছে শোকের মাতম। বিলাপ করছেন মা বিউটি পারভীন। আর পাশে অঝোরে কাঁদছে ছোট দুই বোন ঝর্ণা ও বর্ষা। নিকটাত্মীয়, পাড়া-প্রতিবেশীরা তাদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন। মা বিউটি বলেন, বৃষ্টি আমার মেয়ে। সে অন্য কারও মেয়ে হতে পারে না। আমার বুক চিরে দেখেন, বৃষ্টি আমারই মেয়ে।

স্বজনরা জানান, এসএসসির নিবন্ধন কার্ড, এনআইডির কপি, ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার সনদ। সব কিছুতেই বৃষ্টি খাতুনের নাম রয়েছে। বৃষ্টিকে সবুজ শেখ দত্তক নেয়া কিংবা তার বাড়ি ভারতে, এমন কথা উড়িয়ে দিয়ে তাদের প্রশ্ন, ভারত থেকে কবে কীভাবে কুষ্টিয়ার বনগ্রামে সবুজ শেখের বাড়িতে এলো অভিশ্রুতি?

পরিচয়ের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বৃষ্টির মরদেহ নিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তার স্কুলের শিক্ষক আর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়াহেদ শেখ জানাচ্ছেন, আগা-গোড়া বৃষ্টি খাতুন নামেই তাকে সবাই চিনেছে। ঢাকায় গিয়েই নাম পরিবর্তন করায় জটিলতা তৈরি হল।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক চার পাঁচ মাস আগে হঠাৎ বৃষ্টি খাতুন ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রী’ নাম ধারণ করে একটি ফেসবুক আইডি খুলেন। তবে, বৃষ্টি খাতুন কবে থেকে নিজেকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী আর হিন্দু হিসাবে পরিচয় দেয়া শুরু করেছেন তাও জানে না খোকসার বনগ্রাম গ্রামের মানুষ।

---


ইডেন-ই যত নষ্টের গোড়া?



তবে ওই তরুণীর বায়োডাটায় দেখা গেছে, তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী। সন্তান হারিয়ে শোকাহত বৃষ্টির মা বিউটি বেগম। তিনি ও ওই তরুণীর খালা সাবানা খাতুন বলেন, ‘বৃষ্টি মুসলিম পরিবারের মেয়ে। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন। তার মরদেহ আমরা গ্রামের বাড়িতে দাফন করব। বৃষ্টি যতই ভুল করুক না কেন, আমাদের সন্তান আমরা দাফন করব।’ তামিম নামে বৃষ্টির কাজিন বলেন, ‘বৃষ্টি ধর্মান্তরিত হয়েছিল বলে শুনেছি। বিষয়টি বাড়ির লোকজনও জানতো।’

৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। তিনি মুসলিম। বৃষ্টি ইডেন কলেজে পড়াশোনা করতেন। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি। বাবা শাবলুল আলম সবুজ রাজধানী ঢাকায় বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার তিনটিই কন্যা সন্তান। বৃষ্টি খাতুন সবার বড়। মেজো মেয়ে শারমিনা সুলতানা ঝর্ণা রাজবাড়ী সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ছোট মেয়ে বর্ষা পড়ে দশম শ্রেণিতে। বৃষ্টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়েছেন গ্রামের বিদ্যালয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকার ইডেন কলেজে দর্শন শাস্ত্র নিয়ে পড়েছেন। উচ্চশিক্ষা শেষ করার আগে বিসিএস কোচিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।’

তার বোন হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন কি-না— এমন প্রশ্নে ঝর্ণা বলেন, ‘এটা হতেই পারে না। আমার বোন মনে প্রাণে মুসলিম। কখনই নিজ ধর্ম ত্যাগ করেনি। তবে সম্প্রতি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে ফেসবুক আইডি খুলেছিলেন এবং ওই নামেই সাংবাদিকতা করতেন।’

মুসলিম পরিবারে বেড়ে উঠলেও ওই তরুণীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতো চলাফেরা করতেন। নিজেই নিজের নাম বদলে ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রী’ রাখেন। সহকর্মীরাও তাকে অভিশ্রুতি হিসেবে চিনতেন। হিন্দিতে কথা বলায় পটু ছিলেন। তার যাতায়াত ছিল রমনা কালী মন্দিরেও। তবে পারিবারিক পরিচয় গোপন করতেন। কর্মক্ষেত্রে জমা দেয়া বায়োডাটায়ও নিজেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আনুমানিক ৪/৫ মাস পূর্বে বৃষ্টি খাতুন ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রী’ নাম ধারণ করে ফেসবুক আইডি খোলেন। সেখানে তার ওয়াল পোস্টের ছবিগুলোর মধ্যে হিন্দু ধর্মালম্বী বন্ধুদের আধিক্য এবং ওই বন্ধুদের সঙ্গে হিন্দুধর্মীয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা যায়

ঢাকার রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা আজ শনিবার একটি দৈনিক পত্রিকাকে বলেন, মন্দিরের পক্ষ থেকে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং জেলা প্রশাসক বরাবর অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, তার সমাধানে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে।

উৎপল সাহা বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ৮ থেকে ৯ মাস ধরে মন্দিরে যাতায়াত করতেন, পূজা করতেনসে সূত্রেই তাঁর সঙ্গে পরিচয়অভিশ্রুতি শাস্ত্রী তাকে জানিয়েছিলেন, তাঁর মা–বাবা বেনারসে থাকতেন। তাঁরা মারা যাওয়ায় দাদুর হাত ধরে ঘটনাচক্রে তিনি কুষ্টিয়ায় এসেছিলেন ছোটবেলায়। অভিশ্রুতির দাদু মারা গেলে একটি পরিবার তাঁকে দত্তক নিয়েছিল। তবে এ পরিবার মুসলিম না হিন্দু ছিল, তা তিনি বলেননি। অভিশ্রুতি মারা যাওয়ার পর তাঁর মুসলিম বাবা লাশ নিতে ঢাকায় এসেছেন। তাই অধিকতর তদন্ত করে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল পরিচয় সামনে আনা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর অভিশ্রুতি শাস্ত্রী যদি মুসলমান হন, তাহলে সেই ধর্মীয় রীতিতে, আর যদি হিন্দু হন, তাহলে সেই ধর্মীয় রীতিতে সৎকার করতে হবে।

এ সব কারণে মেয়ের মরদেহ বুঝে পাননি শাবলুল আলম সবুজ। শুরুতে তাকে একবার প্রতারক সন্দেহ করে আটকও করা হয়। তবে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ মরদেহ হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে।

---


নব্য পরিমল "সুকুমার স্যার"কেও একটু ডলাডলি দেওয়া হবে কি?



মারা যাওয়ার আগে ঢাকার রমনা কালীমন্দিরের সভাপতিকে ওই তরুণী জানিয়েছিলেন, তার মা-বাবা বেনারসে থাকতেন। তারা মারা যাওয়ায় দাদুর হাত ধরে ঘটনাচক্রে তিনি কুষ্টিয়ায় এসেছিলেন ছোটবেলায়।

অভিশ্রুতির দাদু মারা গেলে একটি পরিবার তাকে দত্তক নিয়েছিল। তবে বৃষ্টির মা বিউটি বেগম তার মেয়ে বৃষ্টি সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালে তার নিজহাতে ডায়েরিতে লেখা জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ রয়েছে সেটি বের করে দেখান।

বৃষ্টি খাতুনের ডায়েরিতে লেখা আছে, ‘আমার নাম বৃষ্টি। আমি সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি। আমরা তিন বোন। আমি সবার বড়। আমার বয়স ১১ বছর। আমার অন্য দুটি বোনোর নাম ঝর্ণা, বর্ষা। আমার বাবার নাম শাবরুল আলম সবুজ।

আমার মায়ের নাম শাহনাজ পারভীন (বিউটি খাতুন)। আমার স্কুলের নাম বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আমার বাড়ি বনগ্রাম। জেলা কুষ্টিয়া। থানা খোকসা। আমার স্কুলে ২০০ ছাত্র-ছাত্রী। এরমধ্যে আমাদের ক্লাসে ছাত্রী বেশি। আমাদের স্কুলে সুকুমার স্যার আমাকে খুব ভালোবাসেন।’

বৃষ্টির খালাতো বোন জানান, বৃষ্টিকে ফোন দিলে জানায় আপু আমি ব্যস্ত আছি। চার মাস আগে বৃষ্টির সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। নাম পরিবর্তন করে ফেসবুক চালানো বা ধর্ম পরিবর্তনের বিষয়ে কিছু জানেন না।

তবে চার মাস আগে বৃষ্টি বাড়িতে আসলে নামাজ পড়াসহ সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। বৃষ্টির বান্ধবী শারমিন আক্তার জানান, তিনি বৃষ্টির সঙ্গে ১০ বছর পড়ালেখা করেছেন। ইতিপূর্বে নামাজ-রোজা উভয়ই একসঙ্গে করেছেন।

---

জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বৃষ্টি খাতুন’ নামের সংশোধন চেয়ে আবেদন করেছিলেন বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি। অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। অভিশ্রুতি ও বৃষ্টি খাতুন একই ব্যক্তি। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনি নামের সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিলেন।



এনআইডি সংশোধন আবেদনে জানা যায়, বর্তমান এনআইডি অনুযায়ী তার নাম আছে বৃষ্টি খাতুন, বাবার নাম সবুজ শেখ। এনআইডি সংশোধনে তিনি নিজের নাম বৃষ্টি খাতুন থেকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী পিতার নাম সবুজ শেখ থেকে মো. শাবরুল আলম এবং জন্মসাল ১৯৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সংশোধন চেয়েছেন। অভিশ্রুতি শাস্ত্রী (বৃষ্টি খাতুন) গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজ নাম, পিতার নাম ও জন্মসাল পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনটি বর্তমানে ‘গ’ ক্যাটাগরিতে আছে।

জাতীয় পরিচয়পত্রে এসব তথ্য সংশোধনের জন্য ২০২২ সালের নিবন্ধন করা জন্মসনদ, পিতার এনআইডি, মাতার এনআইডি ও ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকত্ব সনদ দাখিল করেছেন। তবে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী যে জন্মসনদ দিয়ে আবেদন করেছিলেন সেটি ভুয়া ছিল।

---


গ্রামের চাচাতো বোন যখন শহরে আসে...



চাকরির জন্য ওই নারী সাংবাদিক একটি জীবন বৃত্তান্ত বা বায়োডাটা প্রস্তুত করেছিলেন। সেখানে দেখা যায় তার নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী এবং পিতা অভিরূপ শাস্ত্রী ও মাতা অর্পণা শাস্ত্রী। যাতে তার ধর্ম পরিচয়ের জায়গায় লেখা রয়েছে ‘সনাতন’।

তার পরিচয় নিয়ে এমন জটিলতার মধ্যে গত শুক্রবার রাতে ফেসবুকে একটি স্টাটাস দেন মো. মাহফুজুর রহমান নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র।

সেখানে তিনি জানান ‘অভিশ্রুতি বৃষ্টি’ নামেই তিনি ওই নারী সাংবাদিককে চিনতেন, তার সাথে পারিবারিক সম্পর্কও ছিল বলেও দাবি এই যুবকের।

রোববার মো. মাহফুজুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ও যাদেরকে মা-বাবা হিসেবে পরিচয় দিতো তারা ছিলও মুসলিম। তবে ‘অভিশ্রুতি’ সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী ছিল। কারণ ওর ধারণা ছিল ওর বাবা মা ওকে দত্তক হিসেবে নিয়েছিল। যদিও তার মায়ের সাথে আমি কথা বলে যতটুকু জেনেছি সে ওই পরিবারেই জন্ম নিয়েছে।”

মি. রহমান বলেন, “সে সাধারণভাবে সনাতন ধর্ম পালন করতো। দিন শুরু করতো মন্ত্র দিয়ে। নিয়মিত পূজায় যেতো। হয়তো ও হিন্দু ধর্ম মনে প্রাণে বিশ্বাস করতো”।

হিন্দু ধর্ম মেনে পূজা করা কিংবা অন্য ধর্মীয় আচার-রীতি পালনের ছবি ফেসবুক পোস্টে সে প্রচার করতো বলেও তার বন্ধুরা জানিয়েছে। সে সব ছবি দেখেই পরিবারের সদস্যরা বিষয়গুলো নিয়ে জানতো বলে তারা জানায়।

তার সহকর্মী নির্বাচন কমিশন বিটের সাংবাদিক সংগঠন আরএফইডির দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান হাসিব বলেন, “অভিশ্রুতিকে আমরা হিন্দু হিসেবেই জানি সবাই। এমনকি গত কয়েকদিন আগে সে তার জন্মদিনে আমাদের দাওয়াত দিয়েছিলো। সে তার জন্মদিন পালন করেছে রমনা কালি মন্দিরে। আমরা সেখানে গিয়েছি”।

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পরদিন সকালে ওই নারী সাংবাদিকদের মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে শনাক্তের পর দুপুরের দিকে তার সেখানে যান রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা।

সেখানে ওই নারী সাংবাদিকের পিতা ও পরিবারের সদস্যরা তাকে মুসলিম দাবি করলে তখন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ হন। তখন শাবরুল আলম সবুজকে পুলিশ আটকও করে, পরে আবার ছেড়ে দেয়।

রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা বিবিসি বাংলাকে বলেন, “মেয়েটা আমাদের মন্দিরে আসতো, পূজা দিতো। সব সময় তুলশী মালা পড়তো। আমাদের ঠাকুর কর্তা তাকে পূজা দেয়াতো। তাকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না এই মেয়ে এমন একটা পরিবার থেকে এসেছে।”

এদিকে, গত শুক্রবার থেকে মেয়ের লাশ নিতে মর্গ আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ঘুরছেন কুষ্টিয়ার শাবরুল আলম সবুজ।

রোববার তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যে যে প্রমাণ লাগে তার সবই দিয়েছি। আর কী করে প্রমাণ দিতে হবে? ও আমার মেয়ে, ও মুসলিম। অভিশ্রুতি ওর সাজানো নাম।”

---

নারী সাংবাদিকের পরিচয় নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় তার লাশ হস্তান্তর করা হয়নি। এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, “তার বাবা দাবিদার সাবরুল আলম সবুজ বলেছেন, তাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার খুকশির বনগ্রামে।

“আবার রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি আমাদের কাছে আবেদন করে বলেছেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিন্দু পরিবারের সদস্য। জন্মস্থান ভারতের বেনারসে। তার বাবার নাম অভিরূপ শাস্ত্রী, মা অর্পণা শাস্ত্রী। বাবা পরিচয়ে মরদেহ নিতে আসা ব্যাক্তি তার বাবা নন বলে তার সন্দেহ।”

রমনা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি উৎপল সাহা বলছিলেন, নিয়মিত মন্দিরে এসে হিন্দু ধর্ম চর্চা ও পূজা-অর্চনা করতেন ওই নারী সাংবাদিক।

“অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসাবে, সে ব্রাহ্মণ মেয়ে– সে হিসাবে এখানে পরিচয় দিত। ধর্মীয় কৃষ্টি কালচারগুলো আমাদের সাথে পালন করেছে।”

অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে বাবা-মায়ের নামে বিভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া গেছে।

২০২১ সালের ৬ জুলাই ইস্যু করা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম বৃষ্টি খাতুন হিসাবেই রয়েছে। সেখানে পিতার নাম সবুজ শেখ এবং মাতার নাম বিউটি বেগম। কলেজের প্রবেশপত্রেও তার একই রকম তথ্য আছে।

অন্যদিকে, চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নিজের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী লিখেছেন তিনি। তবে, বাবার নাম লেখা হয়েছে শাবুরুল আলম এবং মায়ের নাম অপর্ণা শাস্ত্রী

জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং জন্ম বৃত্তান্তে জন্ম তারিখ ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর রয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখ ৯ মার্চ ১৯৯৮।

---


ডিএনএ টেস্টের নাম উঠতেই কালীমন্দিরের সভাপতির এ্যাবাউট টার্ন...

তবে রোববার রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা বলেছেন “এটা এখন আমাদের কাছে অনেকটাই স্পষ্ট যে আসলে কে।
আমরা চাই তার পিতার কাছে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। মা বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। সে জায়গায় তাকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। আমরা জানতাম না বলেই সেখানে গিয়েছিলাম”।
 
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয় শ্রী রাম।

ভিশন ২০৪০।;)
 
Top