nurjahan33pankaj
Member
পুরাহিত এবার বললো নুরজাহান আমার সাথে মন্ত্র পাঠ করো।মা বললো ঠিক আছে। এরপর মাকে গঙ্গা নদীর পানি দিয়ে সাথে তুলসীপাতা আর গো মুত্র মিশানো পানি দিয়ে স্নান করানো হলো। মাকে বললো নুরজাহান তুমি এই পানি টা পান করো। মা খেতে গিয়ে দেখলো কেমন যেনো গোবরের গন্ধ। মা বমি করে দেয়ার মতো অবস্থা। মা বললো আমি এটা খেতে পারবো না। পুরোহিত সে কি কথা এটা তো তোমাকে খেতেই হবে তোমাকে শুদ্বি স্নান করিয়ে তোমার দেহের উপরিভাগ শুদ্ধ করা হয়েছে এবার তুমি এই জল পান করলে তোমার ভেতরটা শুদ্ধ হয়ে যাবে। মা কে জোর করে মায়ের হবু শাশুড়ী সেই জল পান করালো। মা কে বললো নুরজাহান তুমি জানো এটা কি ছিলো। মা না জানি না তো।পিকুর মা বললো এটা হচ্ছে আমাদের গো দেবতার পবিত্র মুত্র। মা এটা শুনে ঘৃণায় বমি করার উপায়। তখন পুরোহিত বললো নুরজাহান তুমি আমাদের ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছো এখন তোমাকে এসব রীতি মেনে চলতেই হবে না হলে তুমি অভিশপ্ত হয়ে যাবে আর তোমার কারনে তোমার হবু স্বামীর এবং তার পুরো পরিবার এর অকল্যান হবে। বলো তুমি কি সেটা চাও। মা বললো না না আমি সেটা চাই না। আমি আমার হবু স্বামী এবং তার পরিবার এর কল্যান এর জন্য সব রকম কষ্ট করতে প্রস্তুত আছি।
সবাই আমার মা এর মুখ থেকে এমন কথা শুনে খুব খুশি হলো। এরপর মা কে কপালে তিলক দিয়ে দিলো পুরোহিত। মা এর হাতে ভগবান এর লাল রক্ষা কবজ এর সুতো বেধে দেয়া হলো।এরপর পিকুর মা কে পুরোহিত বললো আপনারা আপনাদের হবুও বৌ মা কে আশির্বাদ করুন।পিকুর মা এসে মা এর পাশে বসে মা এর হাত ধরে বললো নুরজাহান এটা কিসের আঙটি পড়েছো।মা বললো এটা আমার বিয়ের আঙটি।জয় এর বাবা পড়িয়ে দিয়েছিলো। পিকুর মা হেসে বললো আর এই আঙটি দিয়ে কি হবে যেখানে তুমি আগের স্বামী সাথে সংসার ই করছো না।মা সেটা শুনে বললো থাক না আঙটি টা। পিকুর মা মায়ের মিনতি শুনে রেগে গেলো। সে মায়ের হাত ধরে মায়ের আঙুল থেকে টেনে হিচড়ে আমার বাবার পড়িয়ে দেয়া আঙটি টা টেনে খুলে আমার বাবার পায়ের নিচে ছুড়ে মারলো।মা এটা দেখে কাদতে লাগলো।বাবার চোখ দিয়ে ছলছল করে জ্বল পড়ছিলো।এরপর পিকুর মা তাদের বংশের ঐতিহ্যবাহী আঙটি পড়িয়ে দিয়ে আমার মা কে আশির্বাদ করলো। সবাই উলুউলু দিতে লাগলো।এরপর পিকুর মা কে আমার মা তার পা ছুয়ে প্রনাম করলো।পিকুর মা বললো তোমার হবু শশুর কে প্রনাম করো।মা তাই করলো।এরপর পিকুর মা তার পরিবারের সবার সাথে মায়ের পরিচয় করিয়ে দিলো। মা তার হবু কাকা কাকি ঠাকুমা ঠাকুরদা সবাই কে পা ছুয়ে প্রনাম করলো। সবাই মা কে আশির্বাদ করলো।এরপর পিকুর মা পিকুর একমাত্র ছোট বোন কে আমার মায়ের সামনে এনে বললো নুরজাহান এটা হচ্ছে তোমার একমাত্র ননদ। মা তাকে বুকে জড়িয়ে নিলো।এরপর পিকুর মা আরেকজন কে সামনে এনে মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। যদিও তাকে আমি আগে থেকে চিনি পিকু একদিন ফোনে কথা বলিয়ে দিয়েছিলো। পিকুর মা বললো নুরজাহান এই হচ্ছে একমাত্র বড় জা রত্না। রত্না পিকুর বড় কাকার ছেলে বৌ। ওকে তুমি বৌদি বলে ডাকবে। মা বললো ঠিক আছে। পিকুর বৌদি রত্নার বয়স ২৫ এর মতো হবে যে কিনা মায়ের থেকে অনেক ছোট। মা পিকুর বৌদি কে পা ছুয়ে প্রনাম করতে গেলো। পিকুর বৌদি মা কে হাত ঠেকিয়ে বুকে টেনে নিলো। রত্না বললো ছি ছি আপনি আমার অনেক বড় আপনি আমার পায়ে হাত দিচ্ছেন কেনো। তখন পিকুর মা বললো তাতে কি সম্পর্কের দিক দিয়ে তো তুমি এখন নুরজাহান এর চেয়ে বড়। তাই তুমি নুরজাহান কে নাম ধরে ডাকবে আর নুরজাহান তোমাকে সম্মান করে কথা বলবে বুঝেছো।মা আর রত্না বৌদি বললো হ্যা ঠিক আছে।
এরপর পুরোহিত আমার মা কে বললো নুরজাহান তুমি দেখতে খুব সুন্দর তাই তোমার হিন্দু ধর্ম অনুসারে সুন্দর একটা নামকরন করা উচিৎ। মা বললো জ্বি অবশ্যই। পুরোহিত বললো আজ থেকে তোমার নাম হবে শ্রীমতী দেবী নুরজাহান রানী ব্যানার্জী। আর ডাক নাম হবে নুরজাহান দেবী। মা তার নতুন নাম শুনে খুশিতে হাসতে লাগলো। সবাই মা কে তার নতুন নামের জন্য অভিনন্দন জানাতে লাগলো।
এরপর পিকুর মা আমাকে বললো জয় তোমার মা যেহেতু আমাদের বাড়ির বৌ হতে যাচ্ছে বিয়ে পর তো তাকে বাকি জীবন এখানেই থাকতে হবে। তাই তোমার মায়ের পাসপোর্ট এর কপি আর জন্মনিবন্ধন সহ সব ডকুমেন্টস আমাদের দিয়ে যেয়ো কারন নুরজাহান কে ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর মা ওখানে থেকে উঠিয়ে মায়ের গায়ের নতুন একটা চাদর দিয়ে পেচিয়ে মা কে পিকুর মা তার ঘরে নিয়ে গেলো সেখানে মা এর গা মুছিয়ে মা কে আবার আগের পোশাক পড়িয়ে দিলো। মা বোরকা হাত মুজা পা মুজা পড়ে বাইরে আসলো। সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করলাম।
পিকুর বৌদি আমার কাছে এসে বললো কি খবর জয় কেমন আছো তুমি। আমি বললাম ভালো বৌদি তুমি কেমন আছো। রত্না বৌদি বললো ভালো। মা এটা শুনে বললো কিরে তোরা কি একে অপরকে আগে থেকেই চিনোস নাকি। আমি ইয়ে মানে পিকু একদিন পরিচয় করিয়ে দিছিলো ফোনে। মা ওহ তাই বল। তাহলে তো ভালোই হলো।
রত্না বৌদি বললো শুনো জয় আমাকে তুমি আর বৌদি বৌদি করো না। আমি কেনো কি হইছে।রত্না কাকি হেসে বললো বুঝো না কি হইছে। মা আর রত্না কাকি মিটি মিটি হাসতে লাগলো। রত্না কাকি বললো আগে তো নিজের বন্ধুর দিক দিয়ে আমাকে বৌদি ডেকেছো এখন নিজের মা কে বন্ধুর সাথে বিয়ে দিয়ে বন্ধুকে বাবা বানাতে যাচ্ছো। তাই এখনো কি নিজের বাবার বৌদি কি তুমি ও বৌদি বলবে হ্যা। আমি ও হ্যা তাই তো। তাহলে তোমাকে কি বলে ডাকবো। রত্না বৌদি বললো আমাকে তুমি এখন থেকে রত্না কাকিমা বলে ডাকবে কেমন। আমি ঠিক আছে রত্না বৌদি ইয়ে মানে রত্না কাকিমা। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হা হা করে হাসতে লাগলো।
সবাই আমার মা এর মুখ থেকে এমন কথা শুনে খুব খুশি হলো। এরপর মা কে কপালে তিলক দিয়ে দিলো পুরোহিত। মা এর হাতে ভগবান এর লাল রক্ষা কবজ এর সুতো বেধে দেয়া হলো।এরপর পিকুর মা কে পুরোহিত বললো আপনারা আপনাদের হবুও বৌ মা কে আশির্বাদ করুন।পিকুর মা এসে মা এর পাশে বসে মা এর হাত ধরে বললো নুরজাহান এটা কিসের আঙটি পড়েছো।মা বললো এটা আমার বিয়ের আঙটি।জয় এর বাবা পড়িয়ে দিয়েছিলো। পিকুর মা হেসে বললো আর এই আঙটি দিয়ে কি হবে যেখানে তুমি আগের স্বামী সাথে সংসার ই করছো না।মা সেটা শুনে বললো থাক না আঙটি টা। পিকুর মা মায়ের মিনতি শুনে রেগে গেলো। সে মায়ের হাত ধরে মায়ের আঙুল থেকে টেনে হিচড়ে আমার বাবার পড়িয়ে দেয়া আঙটি টা টেনে খুলে আমার বাবার পায়ের নিচে ছুড়ে মারলো।মা এটা দেখে কাদতে লাগলো।বাবার চোখ দিয়ে ছলছল করে জ্বল পড়ছিলো।এরপর পিকুর মা তাদের বংশের ঐতিহ্যবাহী আঙটি পড়িয়ে দিয়ে আমার মা কে আশির্বাদ করলো। সবাই উলুউলু দিতে লাগলো।এরপর পিকুর মা কে আমার মা তার পা ছুয়ে প্রনাম করলো।পিকুর মা বললো তোমার হবু শশুর কে প্রনাম করো।মা তাই করলো।এরপর পিকুর মা তার পরিবারের সবার সাথে মায়ের পরিচয় করিয়ে দিলো। মা তার হবু কাকা কাকি ঠাকুমা ঠাকুরদা সবাই কে পা ছুয়ে প্রনাম করলো। সবাই মা কে আশির্বাদ করলো।এরপর পিকুর মা পিকুর একমাত্র ছোট বোন কে আমার মায়ের সামনে এনে বললো নুরজাহান এটা হচ্ছে তোমার একমাত্র ননদ। মা তাকে বুকে জড়িয়ে নিলো।এরপর পিকুর মা আরেকজন কে সামনে এনে মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। যদিও তাকে আমি আগে থেকে চিনি পিকু একদিন ফোনে কথা বলিয়ে দিয়েছিলো। পিকুর মা বললো নুরজাহান এই হচ্ছে একমাত্র বড় জা রত্না। রত্না পিকুর বড় কাকার ছেলে বৌ। ওকে তুমি বৌদি বলে ডাকবে। মা বললো ঠিক আছে। পিকুর বৌদি রত্নার বয়স ২৫ এর মতো হবে যে কিনা মায়ের থেকে অনেক ছোট। মা পিকুর বৌদি কে পা ছুয়ে প্রনাম করতে গেলো। পিকুর বৌদি মা কে হাত ঠেকিয়ে বুকে টেনে নিলো। রত্না বললো ছি ছি আপনি আমার অনেক বড় আপনি আমার পায়ে হাত দিচ্ছেন কেনো। তখন পিকুর মা বললো তাতে কি সম্পর্কের দিক দিয়ে তো তুমি এখন নুরজাহান এর চেয়ে বড়। তাই তুমি নুরজাহান কে নাম ধরে ডাকবে আর নুরজাহান তোমাকে সম্মান করে কথা বলবে বুঝেছো।মা আর রত্না বৌদি বললো হ্যা ঠিক আছে।
এরপর পুরোহিত আমার মা কে বললো নুরজাহান তুমি দেখতে খুব সুন্দর তাই তোমার হিন্দু ধর্ম অনুসারে সুন্দর একটা নামকরন করা উচিৎ। মা বললো জ্বি অবশ্যই। পুরোহিত বললো আজ থেকে তোমার নাম হবে শ্রীমতী দেবী নুরজাহান রানী ব্যানার্জী। আর ডাক নাম হবে নুরজাহান দেবী। মা তার নতুন নাম শুনে খুশিতে হাসতে লাগলো। সবাই মা কে তার নতুন নামের জন্য অভিনন্দন জানাতে লাগলো।
এরপর পিকুর মা আমাকে বললো জয় তোমার মা যেহেতু আমাদের বাড়ির বৌ হতে যাচ্ছে বিয়ে পর তো তাকে বাকি জীবন এখানেই থাকতে হবে। তাই তোমার মায়ের পাসপোর্ট এর কপি আর জন্মনিবন্ধন সহ সব ডকুমেন্টস আমাদের দিয়ে যেয়ো কারন নুরজাহান কে ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর মা ওখানে থেকে উঠিয়ে মায়ের গায়ের নতুন একটা চাদর দিয়ে পেচিয়ে মা কে পিকুর মা তার ঘরে নিয়ে গেলো সেখানে মা এর গা মুছিয়ে মা কে আবার আগের পোশাক পড়িয়ে দিলো। মা বোরকা হাত মুজা পা মুজা পড়ে বাইরে আসলো। সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করলাম।
পিকুর বৌদি আমার কাছে এসে বললো কি খবর জয় কেমন আছো তুমি। আমি বললাম ভালো বৌদি তুমি কেমন আছো। রত্না বৌদি বললো ভালো। মা এটা শুনে বললো কিরে তোরা কি একে অপরকে আগে থেকেই চিনোস নাকি। আমি ইয়ে মানে পিকু একদিন পরিচয় করিয়ে দিছিলো ফোনে। মা ওহ তাই বল। তাহলে তো ভালোই হলো।
রত্না বৌদি বললো শুনো জয় আমাকে তুমি আর বৌদি বৌদি করো না। আমি কেনো কি হইছে।রত্না কাকি হেসে বললো বুঝো না কি হইছে। মা আর রত্না কাকি মিটি মিটি হাসতে লাগলো। রত্না কাকি বললো আগে তো নিজের বন্ধুর দিক দিয়ে আমাকে বৌদি ডেকেছো এখন নিজের মা কে বন্ধুর সাথে বিয়ে দিয়ে বন্ধুকে বাবা বানাতে যাচ্ছো। তাই এখনো কি নিজের বাবার বৌদি কি তুমি ও বৌদি বলবে হ্যা। আমি ও হ্যা তাই তো। তাহলে তোমাকে কি বলে ডাকবো। রত্না বৌদি বললো আমাকে তুমি এখন থেকে রত্না কাকিমা বলে ডাকবে কেমন। আমি ঠিক আছে রত্না বৌদি ইয়ে মানে রত্না কাকিমা। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হা হা করে হাসতে লাগলো।