rahulavijit
Well-known member
উল্লাসনগরে থাকতো এই পাকীযা পর্ণোহূরী?!?! সমগ্র মহারাষ্ট্রে আর থাকার জায়গা পেলো না নাকি?!
বেশ কয়েকবছর আগে প্রযেক্টের ইকুইপমেন্ট ইত্যাদি কেনার জন্য মুম্বাইতে থাকতে হয়েছিলো, তখন বহুবার উলহাসনগরে যেতে হয়েছিলো টানা কিছুদিন। থানে-র ছোটোখাটো একটা কো-অপারটিভ ব্যাংকে (নাম মনে নাই) এ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম। প্রতিদিন সকালে একটা ১০ রূপীর নোট আধটুকরা করে হোয়াটস্যাপে ফটো তুলে পাঠাতাম দেশে। তারপর বিকাল নাগাদ জাভেরী বাজার এলাকার অদ্ভূত অদ্ভূত সব লোকেশনে মাল-সামান আসতো। অতঃপর সন্ধ্যাবেলায় সেগুলো আমি ও এক মুম্বাইকর বন্ধু মিলে দাদার, বাইকুল্লা নয়তো ছত্রপতী শিবাজী থেকে মেইল ট্রেনে থানে-তে নিয়ে যেতাম প্রতিদিন। আমি থাকতাম পূর্ব আন্ধেরীতে, উল্লাসনগর থেকে ফিরতে ফিরতে রাত ১২-১টা বেজে যেতো... অনেক রাত এমন হয়েছে গভীর রাতে ফেরার পরে দেখি সব হোটেল-রোস্টুরেন্ট বন্ধ, পরে স্থানীয় ম্যাকডোনাল্ডস থেকে বার্গার আর কোক খেয়ে বিছানায় যেতে হয়েছে...
ট্রেনে যাবার সময় ডোম্বিভলীর পরে বলে একটা জায়গার নাম বিশেষভাবে মনে আছে - বদলাপুর। নামটা এতদিন পরেও মনে রাখার কারণ একটাই - তখনকার সেরা পাকীযা পতিতা কুরেশী বংশীয়া হুমাজী
যাকগে, উলহাসনগরে ব্যবসার কাজে অনেক সময় কাটিয়েছিলাম। ওই মফস্বল এলাকাটার হিন্দুরা বেশ কড়া মাত্রায় মুসলিম-বিরোধী বলে মনে হয়েছে। এরা সকলেই পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ছিলো, 1947এর দেশভাগ ও দাঙ্গায় পালিয়ে বসতি গেড়েছিলো উলহাসনগরে। এখানকার সিন্ধী হিন্দুদের অনেক পরিবারেই সাম্প্রদায়িক হামলায় হতাহত হয়েছিলো। একারণে পুরো অঞ্চলের বাসিন্দারা ১) কট্টর বিজেপি সমর্থক এবং (সঙ্গতকারণে) ২) মুসলিমদের পছন্দ করে না। আমার বন্ধুও সিন্ধী হিন্দু। উলহাসনগরে অলিগলিতে হেঁটে যাবার সময় সেও প্রায়শঃই বলতো মুসলিমরা ওকে হত্যা করেছে, তাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে ইত্যাদি... একটা গেট ছিলো, সম্ভবতঃ ঝুলেলাল নাকি ঝোলানাথ নামের এক সাধুর স্মরণে গেট। এই সাধুকে স্থানীয়রা খুব মান্য করে। আমার বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছিলাম দেশভাগ পূর্বের দাঙ্গায় বাবা ঝুলেলাল-কে হত্যা করেছিলো সিন্ধী মুসলিমরা। মূলতঃ এই সাধুকে হত্যার পরই কয়েকলাখ সনাতনী দেশ ত্যাগ করে, তবে সিন্ধী উদ্বাস্তূদের মহারাষ্ট্রের কেন্দ্রে স্থান দিতে রাজী ছিল না মারাঠীরা। পরে এরা থানে শহর থেকে ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে উলহাসনগরে বসতী স্থাপন করে। এদের লাক ভালো, ওই এলাকা আগে গ্রাম অঞ্চল ছিলো, কয়েক দশক আগে এলাকাটা মুম্বাই মেট্রোপলিটানের অংশ হয়ে যায়।
আমার কাছে কিঞ্চিৎ গরীব, নিম্ন-নিম্নমধ্যবিত্ত এলাকা বলে মনে হয়েছে ওই জায়গাটা। মুম্বাইতে মুসলিমদের বেশ চোখে পড়ে, তবে উলহাসনগরে আমি কোনও মসজিদ দেখি নাই (এখানকার অধিবাসীদের ইতিহাস জানার পরে অবাকও হই নি)। শুনেছিলাম ল্যাণ্ড মাফিয়াদের রাজত্ব ওখানে, মুম্বাই মেট্রোপলিটানে অন্তর্ভূক্ত হবার গ্যাংস্টার ডেভেলপার আর দুর্নিতীবাজ পলিটিশিয়ানদের দৌরাত্ব শুরু হয়েছিলো ওখানে। রাম গোপাল ভার্মা ও অন্যান্য ডিরেক্টরদের বেশকিছু গ্যাংস্টার ফিল্মের (SATYA) কাহিনী ওখানকার ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত।
উলহাসনগরে গিয়ে পুত্র-কন্যা-সহ রুবী শেখ যে অঞ্জলি বোর্দ হবে তাতে অবাক হচ্ছি না। ওখানে এরকম আরও বাংলাস্তানী হূরী কর্মজীবী আছে মোটামুটি নিশ্চিত...
বাইদিওয়ে, ঝিনেদহের ম্যাডাম ফুলী সিমলা মালকিনের খবর কি?
এই মুল্লীও যে ভারতে ভাড়া খাটছে তাতো জানতাম না .........
ম্যাডাম সিমলা এম,পি পদের জন্য আওয়ামী লীগের মনোয়নও চেয়েছিলেন...