Elvisroy
Well-known member
যোগীজ্বীর হিন্দুরাষ্ট্রের পয়লা নাম্বার অগ্রাধিকার হল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তরুণ যুবাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা। যোগীজ্বীর সরকার স্টার্টআপ বিজনেস এর জন্য প্রচুর পরিমানে ঋণের ব্যবস্থা করলেন। এর ফলে ছোটো খাটো নানা কোম্পানি গজিয়ে ঊঠতে লাগলো। বিজনেসের জন্য জমির তো কোন অভাব নেই। ভগবানের আর্শীবাদে আর্যবর্তে বিশাল চাষের জমি আর সাথে মোসলমানদের জমিই তো আছেই। গনিমতের মাল বলে হিন্দুরা মুসলমানদের জমি ও ব্যবসা দুই করায়ত্ত করে ফেলল। মুসলমানরা এখন সরকারি রেশন আর হিন্দুদের দয়ার উপর নির্ভরশীল। হিন্দুদের দয়া পেতে হলে ঘরের বিবিকে বন্ধক রেখে নিজের ধর্ম এর অপমান সহ্য করে হাত পেতে নিতে হয়। ভগবানের কৃপায় আর যোগীজ্বীর রাম শাসনে বিভিন্ন কোম্পানি আর অফিস গড়ে উঠেছে। হিন্দুরাস্ট্রে মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রত্যেক অফিসে ৫% মাইনোরিটি কোটার ব্যবস্থা আছে। মানে সরকারি অনুমোদন পেতে হলে কোম্পানিতে অবশ্যই ৫% মুসলমান ককর্মচারী থাকতে হবে। আর যেহেতু মুসলমানদের মধ্যে নারীদের অধিকার হরণ করা হয়, তাই বেটি পড়াও, বেটি বাচাও প্রকল্পের আওতায় মুসলমান নারীদের চাকরী দিলে ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়। ইসলামের বাধন মুক্ত করে মুসলমান আওরাত দের স্বাধীনতার সুখ দেওয়াই লক্ষ্য। কাগজে কলমে অসাম্প্রদায়িক বলে মনে হলেও এর উদ্দেশ্য সুদূরপ্রসারী। মুসলমানদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুসলমান মেয়েদের ধর্মনাশ করা আর হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে যে সাম্প্রদায়িক কট্টর হিন্দু সমাজ গড়ে উঠেছে তাদের সাম্প্রদায়িক হিংসা মেটানোর আইনি সুযোগ করে দেওয়া। আবার এর মাধ্যমে ভোটব্যাংক ও অটুট রাখা যায়। বিজেপির আমলে হিন্দুরাজত্বে আল্লাহর বান্দীকে হিন্দু পুরুষের কুত্তী বানিয়ে বলী দেওয়ার সুযোগে। আবার অফিসে মুসলমান নারীর যোগান থাকলে হিন্দু চাকরিজীবি দের মধ্যেও উৎফুল্লতা থাকে ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। সমস্ত দেশপ্রেমিক হিন্দু এন্টারপ্রেনার রা যোগীজ্বীর আদেশ মেনে ৫% মুসলমান কোটার পূণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে। এক্ষেত্রে আইটি কোম্পানি গুলো অগ্রগামী। মুসলমানরা সারাদিন মাথা ঝুকে ঝুকে কোরান পরে, জাগতিক কাজকর্ম এ আগ্রহ নেই অন্যদিকে হিন্দুদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার ফলে আইটি সেক্টরের হিন্দুরা বেশ এগিয়ে গিয়েছে। আমেরিকা থেকে বড় বড় আইটি বরাত আসে ভারতে। ফলশ্রুতিতে ভারতে প্রচুর আইটি ফার্ম গজিয়ে উঠেছে। আর এই আইটি ফার্মের যারা কোডিং এর মত জটিল কাজকর্ম করে তাদের মন উৎফুল্ল রাখাত জন্য চাই রিফ্রেশমেন্ট। মুমিনা নারী ভোগের থেকে বড় এন্টারটেইনমেন্ট হিন্দুরাষ্ট্রে আর কি হতে পারে। প্রোগ্রামার দের শারীরিক মানসিক আনন্দ দেওয়ার জন্য আইটি ফার্ম গুলো বেশী বেশী করে মুসলমান খাতুনদের নিয়োগ দেওয়া শুরু করে। মুসলমান নারীদের উপর হিন্দু কর্মকর্তাদের পূণাঙ্গ অধিকার দেওয়া হত। আইটি কোম্পানি গুলোই যোগীজ্বীর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির প্রধান অর্থদাতা। যোগীজ্বী তাই আইটি ফার্ম গুলোকে ঘাটাতো না। কোন মুসলমান যুবতী আইটি ফার্মে বসে হিন্দুদের দ্বারা শারীরিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হলেও আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ থাকে না। পুলিশের কাছে গেল্ব উগ্রবাদী তকমা দিয়ে কোন ধরনের চিকিৎসার সুযোগ বা দিয়েই জেলে পুরে দেয়।